চলমান আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উড়ন্ত শুরু করেছিল সহযোগী স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। কানাডাকে রেকর্ড গড়ে হারানোর পর সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকেও তারা হারিয়েছিল সুপার ওভার গিয়ে। তবে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে চমক দেখালেও ভারতের মতো শক্তিশালী দলের সামনে বেশ চাপেই ছিল স্বাগতিকরা। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অ্যারন জোন্সে করে বসেন হিসাবের গরমিলও। এতে করে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৫ রান জরিমানা দিতে হয় চলতি বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকদের।
নিউইয়র্ক ম্যাচে তাই রান তাড়া করতে নেমে ভারতের শেষ ৫ ওভারে ৩৫ রানের পরিবর্তে প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় ৩০ রান। ফলে লো স্কোরিং ম্যাচ ভারতের জন্য জেতা আরও সহ্য হয়ে দাঁড়ায়। মূলত আইসিসির স্টপ ক্লকের সুবিধায় এই ৫ রান পেনাল্টি ভোগ করতে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশন ৪১.৯.৪ অনুযায়ী, ওভার শেষের ৬০ সেকেন্ড বা ১ মিনিটের মধ্যে ফিল্ডিং দলের পরবর্তী ওভার শুরু করতে হবে। আর তা না হলে এই রান জরিমানা সম্মুখীন হতে হয় ফিল্ডিং দলকে। মাঠে একটি ইলেকট্রনিক ঘড়িও থাকে, যেখানে এই সময় গণনা করা হয়।
কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওভার শুরু করতে ব্যর্থ হলে প্রথমবার ফিল্ডিং দলের অধিনায়ককে সতর্ক করা হয়। দ্বিতীয়বারও একই ভুল হলে তাকে ‘ফাইনাল ওয়ার্নিং’ বা চূড়ান্ত সতর্কবাতা দেয়া হয়। এরপর তৃতীয়বারও যদি ফিল্ডিং দল ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে ওভার শুরু করতে না পারে, তাহলে জরিমানাসরূপ ৫ রান প্রতিপক্ষের দলীয় সংগ্রহে যুক্ত হয়।
গতকাল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচেও এমন ঘটনাই ঘটেছে। প্রথমে জোন্সেকে দুইবার ওভার শুরু করতে দেরি হওয়ায় সতর্ক করেছিলেন ফিল্ড আম্পায়ার। তবে তার পরেও তৃতীয়বার একই ভুল করলে ভারতের দলীয় সংগ্রহের সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ রান যুক্ত হয়। খেলার গতি ধরে রাখতে আইসিসি গত বছর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ‘স্টপ ক্লক’ ব্যবহার শুরু করার পর এবারই প্রথম কোন দল এই শাস্তি পেল।
আরও পড়ুন: শেষ আটে যাওয়ার পথ মসৃণ রাখতে পারবে বাংলাদেশ?
ক্রিফোস্পোর্টস/১৩জুন২৪/এফএএস