
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অলিম্পিক আয়োজনের স্বপ্ন দেখছে ভারত। ২০৩৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিড করতে যাচ্ছে দেশটি। আয়োজক হিসেবে নির্বাচিত হলে, এটি হতে পারে অলিম্পিক ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল আসর।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য আয়োজক বাজেটের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে সর্বোচ্চ ৬৪ হাজার কোটি রুপি। তুলনামূলকভাবে, ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক আয়োজনের জন্য নির্ধারিত বাজেটের (৪৩,৬৩৩ কোটি রুপি) চেয়ে এটি প্রায় ২০ হাজার কোটি রুপি বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের অলিম্পিক আয়োজনের ন্যূনতম ব্যয় হতে পারে ৩৪,৭০০ কোটি রুপি।
বৈঠকে চূড়ান্ত পরিকল্পনা
সম্প্রতি গুজরাটের গান্ধীনগরে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অলিম্পিক আয়োজনের রূপরেখা পেশ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অহমেদাবাদ, গান্ধীনগর, ভোপাল, গোয়া, মুম্বাই ও পুনে—এই ছয়টি শহরে বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করা হবে।
এই আয়োজনের জন্য বিশাল বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে—
• ৩০% ব্যয় হবে বিদ্যমান ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নে
• ৬০% বরাদ্দ থাকবে নতুন স্টেডিয়াম ও অন্যান্য স্থাপনা তৈরির জন্য
• ১০% খরচ হবে সাময়িক অবকাঠামোর জন্য
আরও পড়ুন:
» বাফুফের ফুটবলার ট্রায়াল পরিকল্পনা, সুযোগ পাবেন প্রবাসীরাও!
» হামজার শেফিল্ড ইউনাইটেডের ম্যাচসহ আজকের খেলা (২৮ মার্চ ২৫
দুই ধাপে বাজেট পরিকল্পনা
অলিম্পিক আয়োজনের জন্য দুটি বাজেট পরিকল্পনা করা হয়েছে—
• আয়োজক কমিটির বাজেট: যেখানে মূল গেমস সংক্রান্ত খরচ থাকবে, যেমন—প্রতিযোগিতা পরিচালনা, অ্যাথলেটদের আবাসন, পরিবহন, সাময়িক অবকাঠামো ইত্যাদি। এই বাজেটের পরিমাণ হতে পারে ১৮,৬০০ কোটি থেকে ৪১,১০০ কোটি রুপি।
• অতিরিক্ত বাজেট: এটি মূলত নতুন অবকাঠামো নির্মাণ ও বিদ্যমান অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য। এই ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬,১০০ কোটি থেকে ২২,৯০০ কোটি রুপি।
বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষ্য
এই আয়োজনের মাধ্যমে ভারত শুধু ক্রীড়াক্ষেত্রে নিজেদের সামর্থ্য প্রদর্শন করবে না, বরং বিশ্বমঞ্চে নিজেদের অবস্থান আরও সুসংহত করতে চায়। তবে এত বিশাল ব্যয়ভার দেশের অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, সেটি নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, ভারত আদৌ ২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজনের স্বত্ব পায় কিনা এবং সেটি বাস্তবায়নে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮মার্চ২৫/এফএএস
