
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েছে—সম্প্রতি এমন দাবি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। বলা হয়, হাইব্রিড মডেল অনুসারে পাকিস্তান ও দুবাইয়ে যৌথভাবে টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে পিসিবি। তবে এসব খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘প্রোপাগান্ডা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজনে পিসিবি প্রায় ৮৫ মিলিয়ন ডলার (১০৩২ কোটি টাকা) লোকসান করেছে। কারণ, পাকিস্তানে মাত্র একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, আর বৃষ্টির কারণে দুটি ম্যাচ পুরোপুরি ভেসে গিয়েছিল। তবে পিসিবি বলছে, এই টুর্নামেন্টের আয়োজনের জন্য তারা কোনো খরচই করেনি, বরং পুরো ব্যয় আইসিসি বহন করেছে। ফলে আয়ের ক্ষেত্রে পিসিবি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি লাভবান হয়েছে।
পিসিবির পরামর্শক আমির মির ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা জাভেদ মুরতাজা এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় মিডিয়ার গুজব উড়িয়ে দেন। আমির মির বলেন, ‘পাকিস্তান-বিরোধী উপাদান নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। তারা মনগড়া তথ্য ছড়াচ্ছে, যা একেবারেই ভিত্তিহীন।’
আরও পড়ুন:
» সেহরির সময় মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা, যেভাবে দেখবেন খেলা
» ভক্তদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফিরে আসার বার্তা দিলেন ফাহমিদুল
তিনি আরও জানান, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পিসিবি কোনো অর্থ খরচ করেনি, পুরো ৭০ মিলিয়ন ডলারের ব্যয় আইসিসি বহন করেছে। ফলে লোকসানের প্রশ্নই আসে না। বরং টিকিট বিক্রি ও গেট মানির মাধ্যমে আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আয় করেছি।’
শুরুর দিকে পিসিবির লক্ষ্য ছিল ২ বিলিয়ন রুপি আয়, তবে শেষ পর্যন্ত তারা ৩ বিলিয়ন রুপি লাভ করেছে। মির আরও জানান, অডিট সম্পন্ন হওয়ার পর আইসিসি থেকে আরও ৩ বিলিয়ন রুপি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পিসিবিকে বিশ্বের শীর্ষ তিন ধনী ক্রিকেট বোর্ডের একটি বলছেন তারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয় থেকে পিসিবি স্টেডিয়াম উন্নয়নের জন্য ১৮ বিলিয়ন রুপি বাজেট নির্ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ১০.৫ বিলিয়ন রুপি খরচ করা হয়েছে এবং করাচি, ফয়সলাবাদ, রাওয়ালপিন্ডিসহ আরও কয়েকটি স্টেডিয়াম উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
পিসিবির দাবি অনুযায়ী, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন তাদের জন্য কোনো আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়নি, বরং এটি তাদের আয়ের নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। ফলে ভারতীয় মিডিয়ার দাবিগুলো শুধু ভিত্তিহীন নয়, বরং পরিকল্পিত বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রচেষ্টা।
ক্রিফোস্পোর্টস/২১মার্চ২৫/এফএএস
