চলতি আইপিএলের শুরুটা চেন্নাইয়ের জার্সিতে দারুন ভাবে করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বেশ অনেকটা সময় টুর্নামেন্টের পার্পল ক্যাপ ধরে রেখেছিলেন নিজের কাছে। যেই ফিজের একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা, সেই তিনি এখন চেন্নাইয়ের শিবিরে অটো চয়েজ। তবে চিপকের বাইরে অকার্যকর মুস্তাফিজ দেখেছেন মুদ্রার উল্টো পিঠও।
গতকাল (১৯ এপ্রিল) লখনৌ সুপার জয়েন্টের বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলতে নেমেছিল চেন্নাই। আগে ব্যাট করতে নেমে ধোনি-জাদেজার দৃঢ়তায় ১৭৭ রানের লক্ষ্য প্রতিপক্ষকে ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয় মুস্তাফিজের দল। তবে ব্যাটারদের এই মাঝারি সংগ্রহ ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হয় চেন্নাইয়ের বোলাররা। যেখানে ১ উইকেট পেলেও সর্বোচ্চ ৪৩ রান খরচ করেছেন মুস্তাফিজ।
এদিন চেন্নাইকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে লখনৌ। যেখানে চেন্নাইকে জিততে হলে বোলারদের থেকে প্রয়োজন ছিল বাড়তি কিছু। তবে দলের অন্যতম সেরা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান এই রাতে পারেননি দলের ভরসা হয়ে উঠতে। ইনিংসের ১৭ তম ওভারে বল করতে এসে ১৫ রান খরচ করে চেন্নাইয়ের বেঁচে থাকা ক্ষীণ আশাও ম্লান করে দেন তিনি।
এদিন ম্যাচের আগে থেকেই আলোচনা হচ্ছিল লখনৌর মাঠে মুস্তাফিজকে খেলাবে কিনা চেন্নাই তা নিয়ে। কেননা চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠ চিপকের বাইরে ধারাবাহিক ব্যর্থ হচ্ছিলেন মুস্তাফিজ। যেখানে নিজেদের দুর্গে প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ের কারণ হচ্ছেন এই কাটার মাস্টার, সেখানে ঘরের বাইরে হাত খুলে বিলাচ্ছেন রান।
চিপকের মাঠে ও বাইরে মুস্তাফিজের পরিসংখ্যান
চেন্নাইয়ের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। যার মধ্যে সমান তিনটি করে ম্যাচ চিপকের মাঠে এবং বাইরে খেলেছেন তিনি। ভিন্ন দুই পরিবেশে খেলা মুস্তাফিজের পরিসংখ্যান চোখ কপালে ওঠার মত। চিপকের মাঠে তিন ম্যাচে ৮ উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজ মাত্র ৬.৭৫ ইকোনমিতে বল করে।
অপরদিকে চেন্নাইয়ের বাইরে লখনৌ, মুম্বাই এবং দিল্লিতে খেলা তিন ম্যাচে মাত্র ৩ উইকেট শিকার করা মুস্তাফিজ রান দিয়েছেন ১২.০৮ ইকোনোমিতে যা চিপকের পরিসংখ্যানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। আর এতেই উঠেছে প্রশ্ন চিপকের বাইরে কতটা কার্যকরী মুস্তাফিজ? অবশ্য টুর্নামেন্টের আগেই চিপকের উইকেট বিবেচনায় ফিজকে দলে নেওয়ার কথা জানা গিয়েছিল।
তবে ঘরের বাইরে প্রথম দুই ম্যাচে খানিকটা ব্যর্থ হওয়ার পর লখনৌ ম্যাচে মুস্তাফিজকে খেলানো হবে না এমন সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন অনেকে। তবে বিদেশি পেসারদের কোটায় মুস্তাফিজের থেকে ভালো কোন অপশন চেন্নাইয়ের হাতে না থাকায় এবং ফিজের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় এই ম্যাচেও খেলানো হয়েছে তাকে।
উল্লেখ্য, চলতি আইপিএলে মুস্তাফিজের হাতে রয়েছে আর মাত্র তিন ম্যাচ। যেখানে প্রতিটি ম্যাচই হবে চিপকের মাঠে। তাই ঘরের বাইরে ফিজের অকার্যকারিতা নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। আগামী মঙ্গলবার এই লখনৌর বিপক্ষেই চিপকে মাঠে নামবে মুস্তাফিজদের দল। এরপর ২৮ এপ্রিল হায়দরাবাদ ও ১ মে পাঞ্জাবের বিপক্ষে রয়েছে ম্যাচ।
আরও পড়ুন: জার্সি বদলালেও বেঙ্গালুরুর ভাগ্য কি বদলাবে?
ক্রিফোস্পোর্টস/২০এপ্রিল২৪/এফএএস