২৫ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিচরণ। মাঝে মাঝে একটু আশার আলো দেখিয়ে আবারও নিভে যায় সাফল্যের আলো। এভাবেই আলো-আধারে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এরই মধ্যে আশা আর হতাশার দোলাচলে এবারও খেলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই আসরে ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন দলের অন্যতম ভরসার প্রতীক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বুধবার বিসিবির প্রকাশিত ‘গ্রিন এন্ড রেড’ স্টোরিতে প্রকাশিত হয়েছে মাহমুদউল্লা রিয়াদের সাক্ষাৎকার। সেখানে মাহমুদউল্লাহ বলেন, সুযোগ সবসময় থাকে, কখনও আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি থাকে না। ইনশাআল্লাহ হয়তো এবার আমরা ভালো কিছু করব। ট্রফি জিনিসটা এটা আমার মনে হয় যে, একটু ভাগ্যেরও সাহায্য লাগে। রিয়ার দলেন, আমার যা কিছু, আল্লাহর কাছেই সব সময় আমি সবকিছু বলি। আর আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ বেস্ট প্ল্যানার। আমার ভালো সময়, খারাপ সময়, সব কিছুরই একটা শিক্ষণীয় বিষয় থাকে এটা আমি মেনে চলি।
বয়সভিত্তিক অর্থাৎ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা ছাড়া বড় মঞ্চের কোনো শিরোপা ছুঁয়ে দেখেনি টাইগাররা। কিন্তু বড়দের বিশ্বকাপের মঞ্চে কিছুই করে দেখাতে পারেনি আজ পর্যন্ত। তবে স্বপ্নের কথা বলা হয় প্রায়ই। ২০০৭ সাল থেকে নিয়মিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেললেও ব্যর্থতার গ্লানি ছাড়া কিছুই জোটেনি।
বিসিবির প্রকাশিত ‘গ্রিন এন্ড রেড’ স্টোরিতে রিয়াদ বলেছেন, ‘আমরা কয়েকটা ইভেন্টে খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। তবে, দুর্ভাগ্যজনক আমরা পারিনি। আমাদের জন্য একটি সুযোগ রয়েছে বিশ্বকাপে। আমাদের সমর্থন করুন, বিশ্বকাপে যা সম্ভব সবই করব আমরা।
এদিকে গত বছর বিশ্বকাপের দলে ছিলেন না রিয়াদ। কিন্তু তার আগের আসর ২০২১ সালে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে খেলতে যায় বাংলাদেশ। যদিও মূল পর্বের সব ম্যাচ হেরে যায়।
এক আসরে অধিনায়ক, পরের আসরে দল থেকে বাদ। আবারও নিজেকে প্রমাণ করে দলের ভরসা হয়ে ফিরে আসা ছিল এক বিশাল লড়াই। নিজের এই লড়াই নিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে না থেকে খুবই খারাপ লেগেছিল। মনে হয়েছিল আমি দলে থাকতে পারতাম। কিন্তু কোনো কারণে হয়নি। সেটার জন্য আমার কোনো আফসোসও নেই। সবসময় যেটা বলি নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে দলের জন্য অবদান রাখতে চাই। সবসময় নিজের সর্বোচ্চটাই নিংড়ে দেই।
প্রায় ৫ মিনিটের ভিডিওতে নিজের অনেক কথাই বলেছেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ব্যক্তিগত অর্জনে তেমন নজর নেই তার। দলের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে বেশি চিন্তিত। এসব নিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে চিন্তা করি না। দলের লক্ষ্য যদি অর্জন হয় ওটাতেই খুশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বলা যায় না, যেকোনো কিছু হতে পারে। আমাদের যেমন প্রস্তুতি দেখা যাক…সব কিছু নির্ভর করছি কীভাবে আমরা শুরু করছি। শুরুটা ভালো হলে অনেক দূর যাব।
এবারের বিশ্বকাপে এখনো মিশন শুরু করেনি বাংলাদেশ। আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ যাত্রা। এছাড়াও গ্রুপপর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের মুখোমুখি হবে শান্তবাহিনী।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার আগে ইংল্যান্ডের পরীক্ষা নিলো স্কটল্যান্ড
ক্রিফোস্পোর্টস/৫জুন২৪/এজে