নিউইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামে আবারও একটি লো স্কোরিং ম্যাচ। জয়ের খুব কাছে যেয়েও হারতে হলো বাংলাদেশকে। শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে না পেরে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরেছে টাইগাররা। কিন্তু এই ম্যাচেও ভুগিয়েছে টপঅর্ডারের ব্যর্থতা। যদিও লিটন দাস ও নাজমুল শান্ত রান করেছেন, কিন্তু তাদের সেই রানের পেছনে ব্যয় হওয়া বলগুলোই হারিয়েছে দলকে।
সোমবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১১৪ রানের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভার যখন শেষ হয় তখনও জয় থেকে ৫ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ, অর্থাৎ স্কোর ১০৯ রান। যেখানে টপঅর্ডারে ব্যাটিং করা নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেছেন ২৩টি বল। একটি ছয় মারলেও ছিল না কোনো চার। মাত্র ৬০ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন মাত্র ১৪! টি-টোয়েন্টিতে ২৩ বলে ১৪ রান! তাও অধিনায়কের ব্যাটে!
শুধু শান্ত নয়, এমন স্লো ইনিংস খেলেছেন লিটন দাসও। ১৪টি বল থেকে একটি মাত্র চারে রান করেন ৯। স্ট্রাইকরেট ৬৯! লিটন-শান্ত জুটি থেকে আসে ২৫ রান। বল খেলে ২৫টি। এমন অবস্থায় দল একটু পিছিয়ে পড়ে যায়। সামাজিক মাধ্যমে ভক্তরা বলছেন, এ দুজনের এমন ধীর গতির ইনিংসে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। সেখান থেকে তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ টেনে নিলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি জয় ছিনিয়ে আনতে।
অবশ্য ইনিংসের ১৭ তম ওভারে বার্টম্যানের একটি ডেলিভারি খেলতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্যাডে লাগে। পরবর্তীতে বল তার প্যাডে লেগে বাউন্ডারি লাইন অতিক্রম করে যায়। তবে বোলারের আবেদনের সাড়া দিয়ে সেটিকে এলবিডব্লিউ ঘোষণা করেন আম্পায়ার। তাৎক্ষণিকভাবে রিভিউ নেন মাহমুদউল্লাহ। দেখা যায় বলটি মিস করে যাচ্ছিল তার লেগ স্টাম্প। এতে করে আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ডেড বল ঘোষণা করেন। বল বাউন্ডারি লাইন অতিক্রম করলেও লেগবাই ৪ রান পায়নি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৪ রানেই পরাজিত হয়।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আম্পায়ারিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন হৃদয়। আইসিসির বিতর্কিত ডেড বলের আইন প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, ‘আইসিসি কী নিয়ম করেছে সেটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু ওই সময় ওই চারটা রান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আম্পায়াররাও মানুষ, ভুল হতেই পারে। তবে আমাদের আরও দুয়েকটা ওয়াইড ছিল দেয়নি।’
আরও পড়ুন: বিতর্কিত আইনেই বাংলাদেশের হার, বলছেন ওয়াকার ইউনুস
ক্রিফোস্পোর্টস/১১জুন২৪/এজে