ভারতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই ধবল ধোলাই হয়ে দুদিন আগেই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। এরই মাঝে দম ফেলার সুযোগ নেই টাইগারদের। নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মোকাবিলা করার জন্য। চলতি মাসের ২১ তারিখ থেকেই ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের কথা মাথায় রেখে শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (মঙ্গলবার) অনুশীলনে টাইগার ক্রিকেটাররা। এসময় দলের সাথে ছিলেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেসহ বাকি কোচিং স্টাফের সদস্যরা। অনুশীলনের মাঝে নির্বাচক প্যানেলের সাথে আলোচনার কথা রয়েছে হেড কোচ এবং অধিনায়কের।
কোচ ও অধিনায়কের সাথে বৈঠক শেষে দল নির্বাচন করতে পারে নির্বাচক প্যানেল এবং সেই লিস্ট বিসিবির কাছে জমা দিতে পারে তাঁরা। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচক প্যানেলের এক সদস্য বলেন, ‘কাল অথবা পরশু যে কোনো সময় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দল ঘোষণা করা হতে পারে।’
সম্প্রতি ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ছিলো পুরোপুরি ব্যর্থ। এজন্য তাঁদের জায়গায় নতুন কাউকে আনা যায় কি না সেই ভাবনাও ভাবতে হচ্ছে নির্বাচকদের। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দল ঘোষণা করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে।
এছাড়াও দল ঘোষণার আগে আবারও আলোচনায় সাকিব আল হাসান। সম্প্রতি ভারত সিরিজে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে নিজের শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা পোষণ করেন সাকিব। কিন্তু তাঁর দেশে ফেরার বিপক্ষে অনেকে আন্দোলন করছে।
এদিকে ঘরের মাঠে সাকিবের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলা নিয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমি আইন বিশেষজ্ঞ বা আইন মন্ত্রণালয়ের সম্পৃক্ত না। সুতরাং আমি এই বিষয়ে পরিস্কারভাবে কিছু বলতে পারছি না। আইনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ভালো জানে। তবে আমি যতটুকু জানি সাকিব আল হাসানের দেশে আসা বা বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।’
আরো পড়ুন : প্রথম সন্তানের বাবা হলেন পেসার শরিফুল ইসলাম
ক্রিফোস্পোর্টস/১৫অক্টোবর২৪/এসআর