আইপিএলের এবারের আসরে এক ভিন্নরূপে আবির্ভূত হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। একের পর এক ম্যাচে প্রতিপক্ষ বোলারদের নাস্তানাবুদ বানিয়েছে ট্রাভিস হেড-অভিষেক শর্মারা। আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় রানও করেছে তারা। তবে প্লে-অফ পর্বে এসেই যেন বদলে গেল দলটি।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে কলকাতার বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি তারা। এরপর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রাজস্থানের বিপক্ষে ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর বোলারদের কল্যাণে জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি। তবে ফাইনালে এসে আবারো ব্যর্থ প্যাট কামিন্সের দল।
রবিবার (২৬ মে) আইপিএলের ফাইনালে হায়দরাবাদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই ম্যাচে হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে আসরের তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে কলকাতা। শেষবার ২০১৪ সালে শিরোপা জিতেছিল কলকাতা। দীর্ঘ ১০ বছর অপেক্ষার পর তৃতীয় শিরোপার মুখ দেখল শাহরুখ খানের ফ্রাঞ্চাইজিটি।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৮.৩ ওভারে ১১৩ রানে অলআউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ। জবাবে ৫৭ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে শ্রেয়স আইয়ারের দল।
এদিন বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই আঘাত হানেন মিচেল স্টার্ক। ইনিংসের পঞ্চম বলেই ওপেনার অভিষেক শর্মাকে ফেরান তিনি। পরের ওভারেই আরেক ওপেনার ট্রাভিস হেডকে ফেরান ভৈভব আরোরা। দলীয় ২১ রানে আবারো আঘাত হানেন স্টার্ক। প্যাভিলিয়নে ফেরান রাহুর ত্রীপাঠিকে।
এরপর আর ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারেনি হায়দরাবাদের ব্যাটিং লাইনআপ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। মাঝে এডেন মার্করামের ২০ এবং শেষদিকে প্যাট কামিন্সের ২৪ ও অন্যান্য ব্যাটারদের ছোট ছোট সংগ্রহে ১১৩ রানে থামে হায়দরাবাদের ইনিংস।
কলকাতার হয়ে ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক। এছাড়া আন্দ্রে রাসেল ৩টি এবং হারশিত রানা ২টি উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ৮ উইকেট হাতে রেখে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কলকাতা। দলের হয়ে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৩৯ এবং ভেঙ্কাটেস আইয়ার ৫২ রান করেন।
হায়দরাবাদের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন প্যাট কামিন্স ও শাহবাজ আহমেদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ব্যর্থতার জন্য গণমাধ্যমকে দায়ী করলেন যুক্তরাষ্ট্রের কোচ
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬মে২৪/বিটি