গেল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিসিবির বোর্ড সভায় এসেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এবং পরিবর্তন। যেখানে দীর্ঘদিন যাবত প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে সরিয়ে এই পদে স্থলাভিষিক্ত করা হয় গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে। তবে দায়িত্ব পেয়ে লিপু জানিয়েছেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে পদ ছেড়ে দেবেন তিনি।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরদিন লিপু আসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আঙিনায়। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। লিপু জানান, ‘স্বাধীনভাবে না হলে তো কাজ করে কোনো আনন্দ নেই। রাস্তা সব সময় খোলা আছে; আসার রাস্তাও খোলা, যাওয়ার রাস্তাও খোলা।’
লিপু আরও বলেন, ‘এই রোলে আমি কখনও কাজ করিনি, তারা (বোর্ড) আমাকে উষ্ণ অভ্যার্থনা জানিয়েছে। এটাই আমাকে স্পেসটা তৈরি করে দিয়েছে। আমি কোন স্টাইলে কাজ করব, বা করতে পারব, সেটা সময় বলে দেবে। বল ইজ নট ইয়েট ডেলিভারড। লেট দ্য বল কাম এন্ড লেট মি প্লে।’
দীর্ঘসময় বোর্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও তার কাছে বিভিন্ন সময় প্রস্তাব গিয়েছিল বিসিবির পক্ষ থেকে, ‘আপনারা জানেন ২০১৩ সালের পর থেকে আমি বোর্ডের সঙ্গে নেই। করোনাকালীন সময়ের আগেও একাধিকবার বোর্ড থেকে আমার কাছে বিভিন্ন ভূমিকায় কাজের প্রস্তাব এসেছে। আমার মা অসুস্থ ছিলেন, তখন চিন্তা করার সুযোগ হয়নি।’
২০১৩ সালে বিসিবির নির্বাচনে খেলোয়াড় কোটা থেকে পরিচালক পদে লড়াইয়ে এই লিপুকে হারিয়ে প্রথমবার বোর্ড পরিচালক হয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তবে দীর্ঘদিন দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে লিপু বিসিবির পরিচালক, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বিপিএল গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রধান নির্বাচকের পদে লিপুকে দেখে অবাক সুজন
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪ফেব্রুয়ারি২৪/এফএএস