বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানদের তালিকা করতে গেলে উপরের দিকেই থাকবে নাজমুল হোসেন শান্তর নাম। অথচ গত বিপিএলের আগ পর্যন্তও দেশের ক্রিকেটে এক আক্ষেপের নাম হয়ে ছিলেন শান্ত। কিন্তু ২০২৩ এ এসে কি দারুণভাবেই না ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি। এ বছরে এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৯ ম্যাচ খেলে করেছেন ৪৮৯ রান। ২০২২ সালে যেখানে তার ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট ছিল ৬২.৫৬, এ বছরে তা ৮৬.৯২!
দেশের ক্রিকেট ভক্তদের থেকে এক সময়ে ‘লর্ড’ উপাধি পাওয়া শান্তর ঘুড়ে দাঁড়ানো এবং টিম টাইগার্স এর ব্যাটিং স্তম্ভ হয় ওঠার গল্প উঠে এলো ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সাথে তার বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে।
হঠাৎ এই অসাধারণ ফর্মের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্র্যাকটিসে প্রচুর সময় দিয়েছি। পাশাপাশি নিজের ব্যাটিং এ কি কি দূর্বলতা আছে সেগুলো নিয়েও অনেক কাজ করেছি। ব্যাটিং স্কিল আরও উন্নত করার চেষ্টা করেছি।
উইকেটের ধরণ বুঝে ব্যাটিং করায় তিনি এখন আগের থেকে আরও পরিণত হয়েছেন বলে জানান। ব্যাটিং স্কিল উন্নতির ফলে এখন শট সিলেকশনে অপশন বেড়েছে, ফলে রানও আগের চেয়ে বেশি তুলতে পারছেন। এর সত্যতা অবশ্য তার গত বিপিএলের আগে ও পরে ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট দেখলেই পাওয়া যায়।
মূলত গত বিপিএল থেকেই শান্তর সুসময়ের আভাস পাওয়া যায়। ১৫ ম্যাচে ৫১৬ রান করে সে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার জিতে নেন তিনি। যদিও তার মন্থর স্ট্রাইক রেট নিয়ে কিছুটা সমালোচিত হতে হয়। তবে এরপর থেকেই দেশের হয়ে ওয়ানডেতে নতুন রূপে আবির্ভুত ঘটে ‘আক্ষেপ থেকে আশার আলোয়’ পরিণত হওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত।
একের পর এক বাজে পারফরম্যান্স এর পরও নির্বাচক প্যানেলের আস্থার প্রতিদান দিতে শুরু করেন ২০২৩ সালে এসে। টিম ম্যানেজমেন্টও শান্তর থেকে এখন বড় স্কোরের আশা করেন, শান্তও তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলে যেতে চান।
শান্ত মনে করেন, বিশ্বকাপে চাপ মুক্তভাবে এবং নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলা গেলে ভালো কিছু করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের উইকেটের গতিবিধি বুঝে ব্যাটিং করা হবে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এবারের বিশ্বকাপে শান্তর ব্যাটের দিকেও তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশের কোটি ক্রিকেট ভক্ত।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে টাইগারদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ ঘিরে শঙ্কা
ক্রিফোস্পোর্টস/১অক্টোবর২৩/এমএ