টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে থেমে নেই ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ৷ পূর্ণ উদ্যমে চলছে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের ব্যাটে-বলের লড়াই। শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন শহরের পাঁচটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবারের আসরে৷ গত আসরের দল ডাম্বুলা থান্ডার্সের মালিকানা নিয়ে জটিলতার কারণে নতুন ডাম্বুলা সিক্সার্স নামে এবারের আসরে অংশগ্রহণ করেছে দলটি।
কুড়ি ওভারের এই টুর্নামেন্ট প্রথম বারের মতো খেলছে সর্বোচ্চ চার বাংলাদেশি৷ এর আগে গত আসরে গল টাইটান্সের হয়ে খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান, লিটন দাশ এবং জাফনা কিংসের জার্সিতে খেলেছেন তাওহীদ হৃদয়৷
এবারের আসরে সাকিব আল হাসান ও লিটন দাশ না থাকলেও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে মাঠ মাতাচ্ছে চার বাংলাদেশি৷ এর মধ্যে আফগানিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবীর নেতৃত্বে ডাম্বুলা সিক্সার্সের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাওহীদ হৃদয়।
আরও পড়ুন :
» লামিন ইয়ামাল : স্পেন ফুটবলের বিস্ময়
» আমেরিকান কাপের ইতিহাসে ব্রাজিলের যত শিরোপা জয়
» ‘দেশি কোচরা কাজ করলে খেলোয়াড়দের জন্য সুবিধা হবে’
থিসারা পেরারার অধিনায়কত্বে কলম্বো স্ট্রাইকার্সের জার্সিতে বল হাতে দারুণ ছন্দে রয়েছে তাসকিন আহমেদ৷ অন্যদিকে শেষ মুহূর্তে শরিফুল ইসলামকে দলে ভিড়িয়েছে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ক্যান্ডি ফ্যালকন্স৷ প্রত্যেকেই দলের হয়ে ব্যাটে-বলে রাখছেন দারুণ অবদান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বোলিংয়ে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ৷ ফলে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে সুযোগ পাওয়া চার জনের তিনজনই বোলার৷ বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেলেও শরিফুল ইসলামকে দলে ভিড়িয়েছে ক্যান্ডি ফ্যালকন্স৷
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে ব্যতিক্রম চরিত্র ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। দলের বিপর্যয়ে ব্যাট হাতে ইনিংস মেরামত করেছেন হৃদয়৷ এর পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি৷
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের নিলামে তাকে কেউ দলে না ভেড়ালেও পরবর্তীতে মুস্তাফিজের ডাম্বুলা থান্ডার্স সরাসরি চুক্তিতে তাওহীদ হৃদয়কে দলে ভেড়ায়৷
অথচ লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে জাফনা কিংসের হয়ে মাঠ মাতিয়েছিলেন হৃদয়। ব্যাট হাতে ৬ ম্যাচে প্রায় ১৩৬ স্ট্রাইকরেটে ১৫৫ রান করেছিলেন হৃদয়। তাই এবারের আসরে তার দল পাওয়াটা প্রত্যাশা করেছিলো অনেকে। তবে তখন নিলামে তাকে দলে টানেনি কোনো দল। যা অবাক করা ঘটনা ছিলোই বটে। তবে বিশ্বকাপের নজরকাড়া পারফরম্যান্সের ডাম্বুলা থান্ডার্স দলে ভেড়ায় তাকে৷
গত আসরে তাওহীদ হৃদয় ছাড়াও গল টাইটান্সের হয়ে খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাশ। গলের হয়ে ব্যাটে-বলে সাকিব আল হাসান দারুণ পারফরম্যান্স করলেও পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাশ। ব্যাট হাতে ৩ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৩৪ রান৷ ফলে চলতি আসরে তাকে নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্রাঞ্জাইজি৷
অন্যদিকে বল হাতে ১০ ম্যাচে ১০ উইকেট তুলেছিলেন সাকিব৷ শুধু তাই নয়, ব্যাট হাতে ৯ ইনিংসে ১৭ গড়ে করেছিলেন ১৩৮ রান৷
তবে এবারের আসরে সাকিব আল হাসান খেলছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর ক্রিকেট লিগের লস এঞ্জেলস নাইট রাইডার্সের হয়ে৷
যদিও বিশ্বকাপে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স করেছেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও ব্যাটে-বলে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। তবে নামের ভারে মেজর লিগ ক্রিকেট দল পেয়েছেন। লস এঞ্জেলেসের হয়ে প্রথম ম্যাচে ৩ ওভারে ৩২ রান খরচায় তুলেছেন মাত্র ১ উইকেট৷ ব্যাট হাতে ১৩ বলে খেলেছেন ১৮ রানের ইনিংস৷ তবে আগামী ম্যাচগুলোতে লস এঞ্জেলসের ভরসার নাম হতে পারেন সাকিব আল হাসান৷
ক্রিফোস্পোর্টস/৯জুলাই২৪/টিএইচ/এসএ