ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের দোটানায় ঝুলছে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির ভাগ্য। তার বড় কারণ নিরাপত্তা অজুহাতে পাকিস্তানে যেতে চায় না ভারত। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। কারণ আগের মতো আর নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই পাকিস্তানে। যার বড় উদাহরণ হলো অষ্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বড় দলগুলোর পাকিস্তান সফর।
তবে ভারতের পাকিস্তানে খেলতে না চাওয়ার প্রধান কারণ দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতা। এর সূত্র ধরেই পাকিস্তানে যাতে খেলতে না যাওয়া লাগে সেজন্য অন্যান্য বোর্ডগুলোকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে বিসিসিআই।
‘ক্রিকেট পাকিস্তান’ নামক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত নাকি অন্য বোর্ডগুলোকে বড় অঙ্কের টাকা ঘুষ দিতে চেয়েছে যাতে পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া না লাগে। সেখানে বলা হয়েছে যে, আইসিসি থেকে যে অর্থ বিসিসিআই পাবে সেটার একটা অংশ বাকি বোর্ডগুলোকে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে বাড়তি টাকা দিতেও রাজি বিসিসিআই।
আরও পড়ুন:
» রোমেরো-মলিনাদের অনুপস্থিতিতে যে দল নিয়ে খেলবে আর্জেন্টিনা
» চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান ক্রিকেট
শুধু তাই নয়, বাকি বোর্ডগুলোকে বলা হয়েছে তাঁদের সাথে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ম্যাচের সংখ্যা ও বেশি বেশি সিরিজ আয়োজন করবে বিসিসিআই। বিনিময়ে বোর্ডগুলো যেন পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলতে না চাওয়ার বিষয়ে বিসিসিআইয়ের পক্ষ নেয়। যদিও এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
এদিকে যত দিন যাচ্ছে তত চ্যাম্পিয়ন ট্রফির চূড়ান্ত সূচি ঘোষণার দিন চলে আসছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আইসিসির কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। তবে নিয়মানুযায়ী ২-১ দিনেই মধ্যেই সূচি ঘোষণা করতে হবে আইসিসিকে। না হলে সেটা সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি ভঙ্গের শামিল হবে। ফলে বিপাকে পড়তে পারে আইসিসি ও বিসিসিআই উভয়ই।
চ্যাম্পিয়ন ট্রফির আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তানের নাম ঘোষণার পর থেকেই একটা শঙ্কা ছিল যে, পাকিস্তানে আদৈও কি খেলতে যাবে ভারত। দুই দেশের দোটানার জের ধরে প্রথম থেকেই পাকিস্তানে খেলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল বিসিসিআই। সম্প্রতি এবিষয়ে আইসিসিকে লিখিত চিঠিও দিয়েছে বিসিসিআই।
শেষ পর্যন্ত যদি ভারতকে একেবারেই রাজি করানো সম্ভব না হয় তাহলে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আয়োজন করা হতে পারে ‘হাইব্রিড মডেলে’। সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে দেখা যেতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত বা শ্রীলঙ্কাকে।
উল্লেখ্য ভারত বাধায় এর আগেও ২০২৩ এশিয়া কাপ ‘হাইব্রিড মডেলে’ আয়োজন করতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯নভেম্বর২৪/এসআর/বিটি