কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ মুহূর্তের যোগ করা সময়ে গোল করে আর্জেন্টাইন শিবিরে কাপন ধরিয়েছিল ইকুয়েডর। এতে করে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম পেনাল্টি শট নিতে এসে মিস করে বসেন লিওনেল মেসি। এতে করে আরো চাপে পড়ে যায় আলবিসিলেস্তেরা। তবে প্রতিবারের মতো টাইব্রেকারে দলের ত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন আর্জেন্টাইন ‘বাজপাখি’ খ্যাত গোলকিপার এমি মার্টিনেজ।
প্রতিপক্ষের প্রথম দুই পেনাল্টি রুখে দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তিনি। মেসি প্রথম শট মিস করলেও আলভারেজ, ম্যাক অ্যালিস্টার, মন্টিয়েল, ওতামেন্দি পরপর চার পেনাল্টিতে বল জড়িয়েছেন ইকুয়েডরের জালে। অপরদিকে এঞ্জেল মেনা ও অ্যালান মিন্ডার নেয়া পেনাল্টি ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেয় মার্টিনেজের বিশ্বস্ত গ্লাভস। এতে করে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচ শেষে মার্তিনেজ বলেন এই জয় ছিল আর্জেন্টিনার প্রাপ্য। এখনই টুর্নামেন্ট থেকে ফিরে যেতে চান না তিনি। এই দল নিয়ে এগিয়ে যেতে চান আরও, ‘আমি ওদের (সতীর্থ) বলেছি, বাড়ি ফিরতে তৈরি না। যদিও আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও কোপা আমেরিকা জিতেছি, তবুও এই দলটার আরও বেশি প্রাপ্য। ৩৫ দিন হয়ে গেছে আমরা একসঙ্গে আছি সবাই, আর ব্যাপারটা আবেগের।’
গেল বিশ্বকাপেও মার্টিনেজের বীরত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ২০২১ এর কোপা আমেরিকা থেকে দলের ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। মার্টিনেজ এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো টাইব্রেকারের মুখোমুখি হয়েছেন আর্জেন্টিনার হয়ে। প্রতিবারই দেশকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। বারবার কী করে এমন পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষের, এই প্রশ্নের রহস্য আজ ম্যাচ শেষে দিয়েছেন তিনি নিজেই।
মার্টিনেজ নিজের সফলতার রহস্য হিসেবে অধ্যবসায়ের কথা বলেন, ‘আমি এটার জন্য কাজ করি, প্রতিদিন ৫০০টা শট ট্রেনিং করি। সবসময় নিজেকে ভালো অবস্থায় রাখি আর চেষ্টা করি দলকে যেন সেরাটা দিতে পারি। এই দেশ এমন কিছু প্রাপ্য, যারা টাকা খরচ করে আমাদের দেখতে এসেছে তারাও। আমি গর্বিত, গোলরক্ষক ও মানুষ হিসেবে আরও উন্নতি করতে চাই।’
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে এমি মার্টিনেজের নৈপুণ্যে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
ক্রিফোস্পোর্টস/৫জুলাই২৪/এফএএস