Connect with us
ক্রিকেট

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের দায়িত্ব ছাড়লেন মাসাকাদজা

Hamilton Masakadza
হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ছবি- ইএসপিএন

একটা সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় দলগুলোকে হরহামেশাই চ্যালেঞ্জ জানাতো জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশও বেশ সমীহ করতো তাদের। তবে গেল কিছু বছর যাবত যেন নিজেদের সেই সোনালী অতীত হারিয়ে খুঁজছে আফ্রিকান এই দলটি। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ঝলমলে সেই অধ্যায়ের অন্যতম সেরা তারকা ক্রিকেটার ছিলেন হ্যামিলটন মাসাকাদজা।

এর আগে ২০১৯ সালে ক্রিকেট থেকে নিজের বিদায় জানিয়েছিলেন মাসাকাদজা। তবে ক্রিকেট থেকে নিজেকে একেবারেই দূরে রাখতে পারেননি তিনি। ক্রিকেটের উন্নয়নে বোর্ডে বিভিন্ন ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এবার ব্যর্থতার দায় নিয়ে জিম্বাবুয়ের ডিরেক্টর অব ক্রিকেটের দায়িত্ব ছাড়লেন দলের এই সাবেক অধিনায়ক।

চলতি বছরই সর্বোচ্চ ২০ দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মেগা ইভেন্ট আয়োজিত করতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তবে এতগুলো দল বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেও সেখানে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয় জিম্বাবুয়ে। মূলত বিশ্বকাপে উঠতে না পারার কারণেই নিজের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মাসাকাদজা।

মাসাকাদজার জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা নিশ্চিত করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহেই নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মাসাকাদজা। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাদের ক্রিকেট ও আমার দায়িত্বের সাফল্য এবং ব্যর্থতা বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এদিকে বোর্ডে মাসাকাদজার দায়িত্ব পালনের সময়টাকে কেবল ব্যর্থতায় বন্দি করলেও হবে না। তার দায়িত্বকালীন সময়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডে। তিনি প্রথম ন্যাশনাল প্রিমিয়ার লিগ, জিম আফ্রো টি-টেন লিগ এবং মেয়েদের আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট অথবা ৫০ ও ২০ ওভারের কাপ চালু করেছেন।

আসন্ন বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে না পারাকে নিজের ক্যারিয়ারের সবথেকে বাজে সময় উল্লেখ করে মাসাকাদজা বলেন, ‘আমার দায়িত্বকালে অনেক উন্নতি আছে। তবে উগান্ডার কাছে অপ্রত্যাশিত হারের পর একমাত্র পূর্ণ সদস্য হিসেবে পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারছি না। আমার ক্যারিয়ারে এটি সবচেয়ে বাজে মুহূর্ত, ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে এর পূর্ণ দায় নিচ্ছি।’

ডিরেক্টর অব ক্রিকেটের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও ভবিষ্যতে ক্রিকেটের উন্নয়নে ভিন্ন কোন দায়িত্ব পালন করতে নিজের আগ্রহের কথাও প্রকাশ করেছেন তিনি, ‘সিদ্ধান্তটা বেশ কঠিন ছিল। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রতি আমি পুরোপুরি দায়বদ্ধ থাকব। ২০২৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের পথে আমি ভিন্ন কোনো উপায়ে কাজ করতেও আগ্রহী।’

আরও পড়ুন: শততম টেস্টের প্রথম দিন রাঙাতে পারলেন না সাউদি-উইলিয়ামসন

ক্রিফোস্পোর্টস/৮মার্চ২৪/এফএএস

Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট