
একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের হয়ে প্রায় প্রতিটি ম্যাচে নতুন নতুন কীর্তি গড়তেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এখন আর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলছেন না সাকিব। তবে এই অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতিতে সেই কাজটা করে যাচ্ছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই নতুন নতুন কীর্তিতে নাম লেখাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে দুই ইনিংসেই ফাইফার নিয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু এমন কীর্তির পরও জেতাতে পারেননি দলকে। তবে এবার চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই জ্বলে উঠেছেন তিনি। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পাশাপাশি বল হাতে আরেকটি ফাইফার নিয়েছেন। এতে করে দলও জয় পেয়েছে বড় ব্যবধানে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। দলের এই বিশাল জয়ে ব্যাট হাতে ১০৪ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৫ উইকেট শিকার করেছেন মিরাজ। এতে করে সাকিব ও সোহাগ গাজীর এক বিরল কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন:
» জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ নিলো বাংলাদেশ
» ব্যাট-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ম্যাচ সেরা মিরাজ
এর আগে কেবল সাকিব ও সোহাগ গাজী একই ম্যাচে সেঞ্চুরির পাশাপাশি ফাইফার নিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই বিরল কীর্তিতে নাম লেখিয়েছেন মিরাজ।
২০১১ সালে ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসে সেঞ্চুরির পাশাপাশি ফাইফার নিয়েছিলেন সাকিব। মিরপুরের সেই টেস্টে ব্যাট হাতে ১৪৪ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন সাকিব।
এরপর ২০১৩ সালে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এই কীর্তি গড়েন সোহাগ গাজী। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট হাতে অপরাজিত ১০১ রানের পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেন ৬টি উইকেট। অবশ্য পরের বছর দ্বিতীয়বারের মতো এই কীর্তি গড়েন সাকিব। খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ১৩৭ রানের পাশাপাশি বল হাতে দুই ৫ উইকেট শিকার করেন এই তারকা অলরাউন্ডার।
প্রসঙ্গগত, চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৪৪ রান তুলে বাংলাদেশ। ২১৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের বোলিং করতে নেমে সফকারীদের ১১১ রানেই অলআউট করে দেয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এতে ইনিংস ও ১০৬ রানের সহজ জয় পায় স্বাগতিকরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩০এপ্রিল২৫/বিটি
