ক্রিকেটের সাদা বলের ফরম্যাটে অনেকটা গুছিয়ে উঠলেও লাল বলের ফরম্যাটে এখনো নিয়মিত ধুঁকছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের এই অভিজাত সংস্করণে ২৪ বছর আগে পা দিয়েও আশানুরূপ উন্নতি করতে পারেনি টাইগাররা। টেস্ট ক্রিকেটে দলের এমন দুর্দশার কারণ হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটকে দায়ী করছেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
ঘরের মাঠে চলমাম শ্রীলঙ্কা সিরিজে প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশ। দলের বোলিংটা মোটামুটি হলেও ব্যাট হাতে দলের তরুণ থেকে শুরু করে সিনিয়র ক্রিকেটাররাও ব্যর্থ হয়েছেন।
দ্বিতীয় টেস্টে চট্টগ্রামে ব্যাটিংবান্ধব পিচে প্রথম ইনিংসে ৫৩১ করেছে শ্রীলঙ্কা, যেখানে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭৮ তুলেই অলআউট বাংলাদেশ। সফরকারীদের দেয়া ৫১১ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। পাঁচ ইনিংস পর দুইশ রান পেরোলেও টার্গেট অনুযায়ী তা খুবই স্বল্প। কেননা চতুর্থ দিন শেষে জয়ের জন্য এখনো ২৪৩ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। হাতে রয়েছে মাত্র ৩টি উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র অর্ধশতকটি এসেছে অভিজ্ঞ সিনিয়র মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের ব্যাটারদের এমন দুর্দশার কারণ হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটের মানকে দায়ী করেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুমিনুল এবং তার মতে ঘরোয়া ক্রিকেটে ও আন্তর্জাতিক টেস্টের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ, ‘শুনতে খারাপ লাগবে, কিন্তু আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক টেস্টর মধ্যে অনেক পার্থক্য। আকাশ-পাতাল তফাত। এটা কোনো অজুহাত নয়। এটা আমি, আপনারাসহ সবাই জানে। আমি নিজেও জাতীয় লিগ খেলি। এখানে যে ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়, সেখানে তা হয় না। আমার কথা হয়তো অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু আমি সততার জায়গা থেকে কথাগুলো বলছি।’
আরও পড়ুন: তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকের ম্যাচেও হারই সঙ্গী বাংলাদেশের
ক্রিফোস্পোর্টস/২এপ্রিল২৪/এমটি