আজ (সোমবার) শেষ হল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫ -এর (বিপিএল) প্লেয়ার্স ড্রাফট। এ নিলামে ৬২ জন স্থানীয় খেলোয়াড় এবং ১৬ জন বিদেশি খেলোয়াড়দের দলে ভিড়িয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। তবে এবারের বিপিএলে দল পাননি বাংলাদেশ জাতীয় টেস্ট দলের নিয়মিত মুখ মুমিনুল হক। এছাড়াও কোনো দলে জায়গায় হয়নি অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের।
গেল ভারত সিরিজে টেস্টে একমাত্র বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের সেঞ্চুরি করেছিলেন মুমিনুল। টেস্টে নিয়মিত দেখা গেলেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে দেখা যাই না এই ব্যাটারকে। বিপিলের গত আসরেও ড্রাফটে কোনো দল পাননি বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। অন্য দিকে মোসাদ্দেক প্রথমবার ড্রাফটে দল পাননি। দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে আছেন এই অলরাউন্ডার।
দুজনেই ছিলেন দেশি ক্রিকেটারদের ‘সি’ ক্যাটাগরি। এ ক্যাটাগরিতে ছিলেন ২২ জন ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে এ দুজনকেই নিতে আগ্রহ দেখাইনি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি। গত আসরেও মুমিনুল ড্রাফটে দল না পাওয়ার পর রংপুর রাইডার্স আসরের মাঝপথে দলে ভিড়িয়েছিল। তবে রংপুরের জার্সিতে ১টি মাত্র ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
» বিপিএল ২০২৫ : প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে কে কোন দলে
» মাশরাফিকে দলে নেওয়ার কারণ জানাল সিলেট
অন্যদিকে মোসাদ্দেক হোসেন গতবার দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে খেয়েছিলেন। গত আসরে তিনি ৯ ম্যাচ খেলেছিলেন। কিন্তু আশানুরূপ পারফরমেন্স করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। ৯ ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছিলান মাত্র ৯১ রান এবং বল হাতে ৩টি উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।
গত আসরে ‘ই’ ক্যাটাগরিতে থাকা রিশাদ হোসেনকে এবারের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছিল। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা ১২ জনের ১১ জন শুরুর দিকে দল পেলেও রিশাদকে কেনার আগ্রহ দেখিয়েছিল না কোনো ফ্রাঞ্চাইজিই। তবে শেষ মূহুর্তে ৮৫তম খেলোয়াড় হিসাবে দল পান তিনি। এই অলরাউন্ডারকে দলে ভিড়িয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নস ফরচুন বরিশাল।
এছাড়াও দল পাননি এক সময়ে তিন সংস্করণেই জাতীয় দলের অটো চয়েজ থাকা রুবেল হোসেন। জাতীয় দলের বাইরে আছেন এই পেসার। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে যাচ্ছেন। তবে দেশের সব চেয়ে বড় টুর্নামেন্টে দল পেলেন না তিনি।
বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল হোসেন অপুকে কেউ কিনেনি। দল পাননি শুভাগত হোমও। গত আসরেও বিপিএলে খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। তবে এবার তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪অক্টোবর ২৪/এইচআই