বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন বিশ্ব মঞ্চে। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ভারতের মাটিতে পর্দা উঠবে এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপের। বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ খেলতে গেলেও সঙ্গী করেছে বিতর্ক, যা নিয়ে এখনো আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে।
এমন সমালোচনার মুখে আগে কখনো পড়েনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্বকাপ দলে তামিম না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে পুরো দেশের ক্রিকেট প্রেমীরা।
গত কয়েক মাসের দৃশ্য পটের শুরুটা তামিম যখন অভিমান করে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন। তারপর পুরো দেশের মানুষের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অবসর ভাঙিয়ে দলে ফেরানো হয়। তবে তামিম দলে ফিরলেও অধিনায়কত্বে থাকতে চাননি।
এরপর নিজেকে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করতে নেমে পড়েন দীর্ঘ লড়াইয়ে। সব শেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে এক ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপের আগের সময়টুকু বিশ্রামের কথা জানান। আর সেখান থেকেই নাটকীয়তা শুরু, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ তামিমকে না খেলতে বলা, ৪-৫ নম্বরে ব্যাট করতে বলাসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্বকাপ দলের সঙ্গী হননি তামিম।
আর এতেই ক্রিকেট সমর্থকেরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তামিম দলে না থাকার পেছনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে, বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাড় করায় সমর্থকেরা।
এমন বিতর্কের মাঝে এক ভিডিও বার্তায় সেদিনের সব ঘটনা জানান তামিম। এরপরই টি- স্পোর্টস এর সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেন সাকিব আল হাসান।
তামিম ইস্যুতে অনেক কথা বলেছেন তিনি। এসময় মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। তার মতে মাহমুদউল্লাহর মতো মুশফিকও দল থেকে বাদ পড়তে পারতেন।
প্রথমে রিয়াদের বাদ পড়ার প্রসঙ্গে নিজের দায় এড়িয়ে সাকিব বলেন, ‘অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়ার পর আমাকে এশিয়া কাপের দলের তালিকা পাঠালো। আমি দেখলাম রিয়াদ ভাই দলে নেই। আমার কিছু বলারও ছিল না। কারণ পরদিন সবাই শ্রীলঙ্কা রওনা দিয়েছে।
আমাকে সবাই বলতেছে আমি নাকি রিয়াদ ভাইকে নেইনি। এইসব হাস্যকর কথা! মানুষের সাইলকোলজি এমন কেন? আমি কিছু জানি না, তাও আমার দোষ দেওয়া হয়েছে।’
রিয়াদ বাদ পড়ার পর ঘরের মাঠে ও ইংল্যান্ডের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনায়াসেই সিরিজ জিতে নেয়। এরপর দলের উইনিং কম্বিনেশন ভাঙা হয়নি বলে দাবি করেন সাকিব।
একই কারণে পরবর্তী সিরিজ ও এশিয়া কাপের দলেও জায়গা পাননি রিয়াদ।
তার মতো মুশফিকও বাদ পড়তে পারতেন বলে জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক, ‘ওই সময়ের আগপর্যন্ত মুশফিক ভাইয়ের সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। লাকিলি মুশফিক ভাই ৭০ রান করে। পরের সিরিজ থেকে উনি ছয়ে ব্যাটিং করে আর রান করা শুরু করে।
রিয়াদ ভাই ওই ইনিংসে ভালো করতে পারেনি। তারপর থেকে রিয়াদ ভাই বাদ পড়েন।
আরও পড়ুন: মাইলফলক স্পর্শ করলেন মাহমুদউল্লাহ
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮সেপ্টেম্বর২৩/এসএ