টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগার কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজে এক ইনিংসে ১০ রান খরচায় ৬ ইউকেট শিকার করে এই কীর্তি গড়েন ফিজ। আগামী ২ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের এই বৈশ্বিক আসরেও সেরা বোলিং ফিগারের তালিকায় নাম আছে এই টাইগার পেসারের।
২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে এই কীর্তি গড়েন ফিজ। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে সুপার টেনের গ্রুপ টু এর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। সে ম্যাচে বলতে গেলে মগস্তাফিজ একাই কিউইদের ব্যাটিং অর্ডারে ধ্বস নামিয়ে দিয়েছিলেন। ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় কিউইদের ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন বাঁ হাতি পেসার।
হেনরি নিকোলস, কেইন উইলিয়ামসন, মিচেল স্যান্টনার ও নাথান ম্যাককালামকে বোল্ড আউট করেছিলেন। আর গ্র্যান্ট এলিয়টকে শুভাগত হোমের ক্যাচে পরিণত করে ৫ উইকেটের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছেছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটাই ছিল মুস্তাফিজের প্রথম বার ৫ উইকেট শিকার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ও একমাত্র টাইগার বোলার হিসেবেও এটি একটি রেকর্ড।
আরও পড়ুন:
বিদায় বেলায় এমবাপ্পেকে প্রশংসায় ভাসালেন পিএসজি কোচ
ইতিহাস গড়ে আইসিসির মাসসেরা আরব আমিরাতের ক্রিকেটার
বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন সিকান্দার রাজা
আর এর মাধ্যমেই বিশ্বকাপ ইতিহাসে সেরা দশ বোলিং ফিগারের তালিকায় স্থান পেয়ে যান টাইগার পেসার। ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে ফিজের অবস্থান ৮ নম্বরে। তালিকার শীর্ষে আছেন শ্রীলঙ্কান স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস। ২০১২ বিশ্বকাপে হাম্বানটোটায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেন মেন্ডিস। সঙ্গে দুই ওভার মেইডেনও দিয়েছিলেন।
অপরদিকে তালিকার ১০ নম্বরে আছেন আরেক লঙ্কান কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গা। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৩১ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন এই পেসার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৫ বা তার বেশি উইকেট শিকারের ঘটনা আছে মোট ১০ টি। সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০ রান খরচ করে ৫ উইকেট পান ইংলিশ পেসার স্যাম কারেন। তিনি আছেন এই তালিকার চার নম্বরে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮মে২৪/এমএস/এসএ