বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে গতিময় বোলার নাহিদ রানা। চলতি বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ১৫২ কিলোমিটার গতিতে বল করেন তিনি। এতে রুবেলের ১৪৯.৫ কিলোমিটার গতিকে টপকে বাংলাদেশের সবচেয়ে গতিময় বোলারের মালিক বনে যান এই তরুণ পেসার।
গত মার্চে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন নাহিদ। এরপর থেকেই আলোচনায় আছেন এই পেসার। তার বোলিংয়ে রয়েছে দুর্দান্ত গতি ও বাউন্স, যা বাংলাদেশে খুব বেশি দেখা যায় না। আর এ কারণেই বেশ আলোচনায় উঠে আসেন এই তারকা।
এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেন নাহিদ। লাল বলের ক্রিকেটে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার সাদা বলের ক্রিকেটেও যাত্রা শুরু করেছেন এই পেসার।
আরও পড়ুন:
» ১ বছর পর ফিফটি, তবুও ২ রানের আক্ষেপ মাহমুদউল্লাহর
» প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব দেওয়ার দিনেই কীর্তি গড়লেন মিরাজ
সোমবার (১১ নভেম্বর) আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তৃতীয় ওয়ানডেতে অভিষেক হয় নাহিদের। আর অভিষেকেই নিজের জাত চিনিয়েছেন এই পেসার। একের পর এক গতি ও বাউন্সে আফগানিস্তানের ওপেনারদের পরাস্ত করেছেন তিনি। একই সঙ্গে নিজের প্রথম ওয়ানডে উইকেটও তুলে নিয়েছেন নাহিদ।
নিজের অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচেই ১৫১ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন তিনি। যা বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গতির বল। তার এমন গতি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি বোলার ও ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ। পাশাপাশি নাহিদকে বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
সোমবার নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে বিশপ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ভালো একজন স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং বিশেষজ্ঞ এবং ডায়েটিশিয়ান নিয়োগ করতে হবে যাতে পেস বোলারদের বিশেষ করে নাহিদ রানাকে ফিট রাখতে পারে। তার বলে দারুণ গতি।’
এদিন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন নাহিদ। এরপর নিজের চতুর্থ ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন তিনি। সেদিকুল্লাহ অটলের স্টাম্প উড়িয়ে নিজের অভিষেক উইকেটের দেখা পান এই তরুণ।
ক্রিফোস্পোর্টস/১১নভেম্বর২৪/বিটি