ইউরো বাছাইপর্বে ঘরের মাটিতে জিব্রাল্টারকে ১৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে বিধ্বস্ত করলো ফ্রান্স। আগেই ধারণা করা হয়েছিল ম্যাচটি হবে একপেশে। ফিফা র্যাংকিংয়ের তলানিতে থাকা দলটির সাথে বড় জয়ের আশাই করছিল ফ্রান্স। তবে কে ভেবেছিল সেটি হবে ইউরো বাছাইপর্বের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোল ব্যবধানের জয়।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফ্রান্সের আলিয়াঞ্জ রিভিয়েরা স্টেডিয়ামে ফিফা র্যাংকিংয়ের ১৯৮ তম দল জিব্রাল্টারের বিপক্ষে ইউরো বাছাই পর্বের ম্যাচে মাঠে নামে র্যাংকিংয়ের দুয়ে থাকা স্বাগতিক ফ্রান্স। এদিন ফ্রান্সের ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলে জয়ের রেকর্ড হয়ে যায়। রেকর্ড জয়ের দিনে দলের হয়ে স্কোরশিটে নাম লিখেছেন হ্যাটট্রিক করা কিলিয়ান এমবাপ্পে সহ ভিন্ন আট জন ফরাসি ফুটবলার।
র্যাংকিং ও শক্তিমত্তার দিক থেকে যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। ম্যাচে প্রথম মিনিট থেকে আক্রমণে যায় স্বাগতিকরা। চাপের ম্যাচে প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুটি আত্মঘাতী গোল হজম করে শুরু হয় জিব্রাল্টারের জালে ফ্রান্সের গোল বন্যার সূচনা।
রেকর্ড জয়ের ম্যাচে ঘটেছে আরও একটি রেকর্ড। ১৯৯৪ সালের পর এখন ফ্রান্সের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা বনে গেছেন জাইর এমেরি। ম্যাচের ১৬তম মিনিটে গোল করে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। এ সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর ২৫৫ দিন। তবে গোল করার সময় পায়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
জয়ের রাতে দলের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ম্যাচের ৮২ মিনিটে ৪০ গজ দূর থেকে বুদ্ধিদীপ্ত শট করে গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। নিজের হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি এদিন তিনি ৩০০ তম গোলের মাইলফলক স্পর্শও করেছেন।
ম্যাচে প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই বল ছিল ফ্রান্সের দখলে। মুহুর মুহুর আক্রমণে জিব্রাল্টারকে চাপে রাখে ফরাসি জায়ান্টরা। ম্যাচের দুই আর্ধে সমান সাতটি করে গোল হজম করে সফরকারীরা। এদিন এমবাপ্পে ছাড়াও গোল করেছেন জাইর এমেরি, ক্লাউস, কোমান, ফোফানা, রবিয়োট, ডেম্বেলে, জিরোন্ড।
এই ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে ইউরো বাছাই পর্বের সাত ম্যাচে সবকটিতে জিতে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্স। অপরদিকে নিজেদের খেলা সাত ম্যাচের সাতটিতেই হেরে তলানিতে জিব্রাল্টার।
আরও পড়ুন: হাইভোল্টেজ ফাইনালসহ টিভিতে আজকের খেলা
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯নভেম্বর২৩/এসএফ/এজে