আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাকিস্তানে। দেশটিতে যেতে ভারতের আপত্তি থাকায় দীর্ঘ সময় যাবত ঝুলে ছিল টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ভারতের জেদের কাছে পরাজিত হতে হয় আয়োজক দেশকে। এতে হাইব্রিড মডেলের অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের টুর্নামেন্ট। ফলে ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে।
এদিকে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানের মাটিতেই। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইসিসির কাছে পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিতে হবে দেশটির তিন ভেন্যু। তবে এখানে যেন বড় ধাক্কা খাওয়ার দোরগোড়ায় রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কেননা চলমান অবস্থা অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে স্টেডিয়াম গুলো সম্পূর্ণ প্রস্তুত করতে পারবে কিনা তারা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ।
গত বছরের আগস্টে স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ শুরু করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি। লক্ষ্য ছিল করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম একেবারেই নতুন করে গড়ে তোলা হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেটা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
তিন স্টেডিয়ামের সংস্কারের বর্তমান পরিস্থিতি মোটেও সন্তোষজনক নয়। গ্যালারি, ফ্লাডলাইট, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ আউটফিল্ড কোন কিছুই যেন প্রস্তুত নয় ম্যাচের জন্য। লাহরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্লাস্টারের কাজও শেষ হয়নি এখনও। এমনকি করাচির ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক স্টেডিয়ামও তৈরি হয়নি। সবশেষ পিসিবির ভিডিও দেখে যেন মনে হয় পড়ে আছে স্টেডিয়ামের ভগ্নাবশেষ।
আরও পড়ুন:
» শেষ মুহূর্তের আক্ষেপে ইউরোপে খেলা হচ্ছে না ঋতু-সাবিনার
» সিলেটকে নিয়ে উর্দুতে মন্তব্য করলেন শহীদ আফ্রিদি
স্থানীয় বেশকিছু গণমাধ্যমের দাবি, পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে পাকিস্তান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়া হতে পারে সম্পূর্ণ টুর্নামেন্ট। অবশ্য এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি আইসিসি। পিসিবির সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ মাত্র এক মাসের মধ্যে তিন ভেন্যুর সকল কাজ সম্পন্ন করা। আপাতদৃষ্টিতে সেই কাজ বেশ কঠিন মনে হলেও সময়মতো তা শেষ করতে চায় পিসিবি।
এর আগে স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ চালিয়ে নিতে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজটিও সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। পুরো দমে বর্তমানে চলমান রয়েছে স্টেডিয়াম সংস্কারের কর্মযজ্ঞ। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখা গিয়েছিল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে স্টেডিয়াম প্রস্তুত না হওয়া নিয়ে বিপত্তি। অবশ্য সেবার একদম শেষ মুহূর্তে এসে আইসিসির কাছে ভেন্যু হস্তান্তর করতে সক্ষম হয় যুক্তরাষ্ট্র।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯জানুয়ারি২৫/এফএএস