চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচ জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন শেষ দিকে ঝলক দেখিয়েও স্বাগতিকদের পরাজিত করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। কিউইদের ১৩ রানে হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। এতে করে নিজেদের টানা দুই ম্যাচ হেরে শেষ আটে যাওয়ার পথ অনেকটাই কঠিন করে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৪৯ রান সংগ্রহ করতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় কিউইদের ইনিংস।
এদিন শেরফান রাদারফোর্ডের ঝড়ো অর্ধশতকে ভর করে লড়াকু পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অবশ্য ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না স্বাগতিকদের জন্য। পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেটসহ ৭৬ রান তুলতেই নিজেদের ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এমনকি ১১২ রান তুলতেই পতন হয় ৯ম উইকেটের।
তবে শেষ দুই ওভারে চার-ছক্কার বন্যায় শেষ উইকেটে ৩৭ রান তুলে ফেলেন রাদারফোর্ড। ৬ ছক্কায় ও ২ চারে ৩৯ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ বলে ১৭ রান করেছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার নিকোলাস পুরান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ডও। ডেভিড কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র এবং কেন উইলিয়ামসন হয়েছেন ব্যর্থ। ওপেনিংয়ে ফিন অ্যালেন খেলেছেন ২০ বলে ২৬ রানের একটি ইনিংস। ৮৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কিউইরা। এরপর দলের হাল ধরেন গ্লেন ফিলিপস।
মাঝে অষ্টম ওভার থেকে দ্বাদশ ওভার পর্যন্ত কিউই ব্যাটারদের ব্যাট থেকে আসেনি কোন বাউন্ডারি। অবশ্য শেষ দিকে ঝলক দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড। শেষ ৪ ওভারে চার-ছক্কার মারে তারা ৪৯ রান তুলতে সক্ষম হয়। সে সময় দুটি ছক্কা ও তিনটি চার হাঁকিয়েছেন ফিলিপস।
আউট হওয়ার পূর্বে তিনি খেলেন ৩৩ বলে ৪০ রানের একটি ইনিংস। অবশ্য শেষ দিকে ঝলক দেখিয়েছেন মিচেল সান্তনার। শেষ ওভারে তিনি হাকিয়েছেন ৩ টি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। এতে করে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের মাঝ পথে র্যাংকিংয়ে বড় দুঃসংবাদ পেলেন সাকিব
ক্রিফোস্পোর্টস/১৩জুন২৪/এফএএস