গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে গেছে পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল। এবার সেই পাকিস্তানই উপমহাদেশের প্রথম ও একমাত্র দল হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়লো । সিরিজের এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টানা দুই জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে নিদা দারের নেতৃত্বাধীন দলটি। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জয়ের পর আজ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ রানের জয় পায় পাকিস্তান।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের সংগ্রহ পায়। ওপেনার মুনিবা আলী ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। সাথে ২২ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ম্যাচসেরা ইনিংস খেলেন আলিয়া রিয়াজ এবং বিসমাহ মারুফ করেন ২৬ বলে ২১ রান। জবাবে চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক মেয়েরা। ফলে ১০ রানের জয়ে ইতিহাস গড়ে ফেলে পাকিস্তান। কিউই মেয়েদের তীরে এসে তরী ডুবানোর কাজটা মূলত করেছেন পাক বোলার ফাতিমা সানা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অসাধারণ বোলিংয়ের পর আজও কিউইদের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে সর্বনাশের কারণ হয়েছেন এই মিডিয়াম পেসার।
সিরিজ বাঁচানোর মিশনে নেমে নিউজিল্যান্ডের মেয়েরা বোলিংয়ে এসে পাকিস্তানের মেয়েদের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের মধ্যেই আটকিয়ে ফেলে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় তারা। ১৬ ওভার ১ বলে ৮৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে খাবি খেতে থাকে কিউইরা। এরপরই অষ্টম উইকেটে ২১ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের আভাস দেয় লিয়া তাহুহু ও হানা রো। ম্যাচ জিততে শেষ ২ ওভারে কিউইদের প্রয়োজন ছিল ২ ওভারে ৩৩ রান। দু’জন মিলে ১৯ তম ওভারে ১৫ রান তুললেও শেষ ওভারে বাকি ১৮ রান আর তুলতে পারেনি। শেষ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান ফাতিমা সানা।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে নির্ধারিত ৮ ওভার বল করে ৪০ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট শিকার করেছেন ফাতিমা। ম্যাচ জিতে তিনি টুইট করে লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। নিউজিল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম সিরিজ জয়। এ জন্য আমার পুরো দল এবং ভক্ত-সমর্থকদের অভিনন্দন জানাই, শাবাশ।’
তবে এমন অসাধারণ জয়ের পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে পাকিস্তানের মেয়েদের দলীয় পারফরমেন্স। ফাতিমার ৩ উইকেট, সাদিয়া ইকবালের ২ উইকেটের সাথে চোটে পড়ে কাপ্তান নিদা দারের ২০ রান খরচায় ১ উইকেট শিকার মুখ্য ভূমিকা রেখেছে পাকিস্তানের এই জয়ে। নিদা দার এই একমাত্র উইকেট শিকারের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার মেগান শাটের সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে শীর্ষ উইকেট শিকারিও বনে গেছেন। ২০ ওভারের ক্রিকেটে উভয়েরই উইকেট সংখ্যা ১৩০ টি।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্টে প্রথম ক্রিকেটার হিসবে নতুন ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে মুশফিক
ক্রিফোস্পোর্টস/০৫ডিসেম্বর২৩/এমএস/এমটি