বিশ্বকাপের পর থেকেই ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে ছিল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজে হোয়াইট ওয়াশের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও টানা ৪ হারে আগেভাগেই সিরিজ খুয়িয়েছে পাকিস্তান। তবে ইফতেখার আহমেদের ঘূর্ণিতে সিরিজের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৪২ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।
আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় ক্রাইস্টচার্চে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। যথারীতি এই ম্যাচেও শুরুটা ভালো করতে পারিনি পাকিস্তান। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩৪ রানে গুটিয়ে যায় তারা। তবে জবাব দিতে নেমে পাকিস্তানের বোলিং নৈপুণ্যে শত রানের আগেই অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ব্যক্তিগত ১ রান করে বিদায় নেন রাচিন রবীন্দ্র। স্পিনার নওয়াজের বল খেলতে গিয়ে জামান খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। এরপর ৩ চার ও ১ ছক্কায় ভালো করার আভাস দিয়েও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি উইকেটে। ১৯ বলে ২২ রান করে আউট হন জামান খানের বলে ক্যাচ দিয়ে।
টিম শেফার্ডকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন উইল ইয়াং। তবে তিনিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি উইকেটে। ১১ বলে মাত্র ১২ রান করে নওয়াজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। উইকেটে এসে পরে রোববারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটে কাটা পড়েন মার্ক চাপম্যান।
মাত্র ৫৪ রানের ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপ একেবারেই ধ্বসিয়ে দেয় ইফতেখার আহমেদের ঘূর্ণি। উইকেটে টিকে থাকার সংগ্রাম চালানো টিম শেফার্ডকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফেরান ইফতেখার। মিচেল স্যান্টনার ও ম্যাট হ্যানরির উইকেটও তুলে নেন এই স্পিনার।
এরপর দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করা গ্লেন ফিলিপসকে ফিরিয়ে জয় অনেকটা নিশ্চিত করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। পরের বলেই লকি ফার্গুসনকে বোল্ড করে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে শেষ পেরেক ঠুকে দেন আফ্রিদি। এতে করে টানা ৮ ম্যাচে হারের পর জয়ের দেখা পেয়েছে পাকিস্তান।
তবে এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ধারাবাহিক ব্যর্থতার মুখে পড়ে সফরকারীরা। প্রথম বলেই কোন রান না করে আউট হন ওপেনার হাসিবুল্লাহ। এরপর বাবর আজমকে সাথে নিয়ে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ৫৬ বলে ৫৩ রানের ওয়ানডে মেজাজের জুটি ভাঙ্গে ম্যাট হেনরির বলে রিজওয়ান আউট হলে।
পঞ্চাশের কিছু বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করা বাবর আজম আউট হন ২৪ বলে ১৩ রান করে। ঝিমিয়ে পড়া ম্যাচে রানের গতি বেড়ানোর চেষ্টা করেন ফাখর জামান। ৪ ছক্কা এবং ১ চারে ১৬ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তানি। শেষ দিকে আব্বাস আফ্রিদির ২ ছক্কায় ১৩৪ রান সংগ্রহ করতে পারে তারা।
বোলিং ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন স্পিনার ইফতেখার আহমেদ। জোড়া উইকেট তুলে নিয়েছেন শাহীন আফ্রিদি এবং মোহাম্মদ নওয়াজ। পাকিস্তানের বোলিং নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত এই ১৩৪ রানই জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বিয়ের পরেই নতুন রেকর্ড গড়লেন শোয়েব মালিক
ক্রিফোস্পোর্টস/২১জানুয়ারি২৪/এফএএস