সেই ১৯৯০ সালের কথা। সবশেষ ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট হেরেছিল পাকিস্তান। এর মাঝে কেটেছে ৩৫টি বছর। এই দীর্ঘ সময় পর আবারও সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে পাকিস্তান। মুলতান টেস্টে ১২০ রানে জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
স্পিন-স্বর্গ মুলতানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল দ্বিতীয় দিন শেষেই। তৃতীয় দিনে সফরকারীদের দরকার ছিল আর ৬ উইকেট। সিরিজ জিততে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল আরও ১৭৮ রান। ক্যারিবীয় বোলারদের তোপে আজ প্রথম সেশনেই মুখ থুবড়ে পড়েছে স্বাগতিক পাকিস্তানের লড়াই। গুটিয়ে গেছে ১৩৩ রানেই।
চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ২৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের রান ছিল ৪ উইকেটে ৭৬। আজ তৃতীয় দিনে দলীয় ১৩৩ রানেই গুটিয়ে গেছে শান মাসুদের দল। ১২০ রানের জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে সমতায় শেষ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে প্রথম টেস্ট ১২৭ রানে জিতেছিল পাকিস্তান।
আরও পড়ুন:
» ‘সেভেন আপ’ মনে করালো বার্সেলোনা, ভ্যালেন্সিয়ার জালে ৭ গোল
» নোমান আলীর হ্যাটট্রিকের রেকর্ডে উঠে এলো অলোক কাপালীর নামও
পাকিস্তানের মাটিতে এ নিয়ে কেবল পাঁচটি টেস্ট জিতেছে ক্যারিবীয়রা। সর্বশেষ ১৯৯০ সালের নভেম্বরে জয় পাওয়া ওই টেস্ট দলে ছিলেন গর্ডন গ্রিনিজ, কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশ, ইয়ান বিশপদের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। সদ্য সমাপ্ত টেস্ট দলের কেমার রোচ ছাড়া উইন্ডিজের বাকিদের কারও তখন জন্মই হয়নি।
প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয়দের ইনিংস শেষ হয় ১৬৩ রানে। ৫৪ রানে ৮ উইকেট পড়ে যাওয়া দলকে দেড়শ ছাড়া করেন গুদাকেশ মোতে ৫৫, জোমেল ওয়ারিক্যান ৩৬* ও কেমার রোচ ২৫। পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ইনিংসে নোমান আলী ৬টি এবং সাজিদ খান ২টি উইকেট নেন।
জবাবে পাকিস্তানের ব্যাটাররা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে ১৫৪ রানে। রিজওয়ান ৪৯ ও সউদ শাকিল ৩২ রান ছাড়া আর কারো ব্যাটেই তেমন রান আসেনি। জোমেল ওয়ারিক্যান ৪টি, গুদাকেশ মোতে ৩টি ও রোচ ২টি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন:
» বিগ ব্যাশ লিগে ‘অদ্ভুত’ নিয়ম আনতে চায় অস্ট্রেলিয়া!
» বিপিএলে খেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ফিরছেন পাক ক্রিকেটার!
৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবীয়রা তোলে ২৪৪ রান। এই ইনিংসে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ফিফটির (৫২) দেখা পান। এছাড়া আমির জঙ্গো ৩০, টেভিন ইমলাচ ৩৫ ও কেভিন সিনক্লেয়ার ২৮ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে সাজিদ খান ও নোমান আলী ৪টি করে উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে জোমেল ওয়ারিক্যানের বোলিং তোপে দাঁড়াতে পারেনি পাক ব্যাটাররা। ওয়ারিক্যান ৫টি, সিনক্লেয়ার ৩টি এবং গুদাকেশ মোতি ২টি উইকেট নেন। ৯টি উইকেট ও ৩৬ রান করা ওয়ারিক্যান ম্যাচসেরা এবং সিরিজ সেরা নির্বাচিত হন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭জানুয়ারি২৫/এজে