২০০৯ সালে পাকিস্তানের লাহোরে শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা হয়তো ভুলে যেতে চাইবে না পাকিস্তান। যে কারণে দেশটিতে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছিল নির্বাসিত। তবে কালের পরিক্রমায় আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে পাকিস্তানে। বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পর এবার আইসিসির ইভেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে পাকিস্তান।
অবশ্যই বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের অংশ নেওয়া প্রতিটি দলের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ সতর্ক থাকার কথা আয়োজক দেশ পাকিস্তানের। যার ব্যতিক্রম হচ্ছে না বাস্তবেও। প্রায় ২৯ বছর পর দেশটিতে আয়োজন হতে যাওয়া এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা মাথায় রেখে অন্তত সাড়ে ১৭ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে টুর্নামেন্ট ঘিরে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সূত্রের খবর অনুযায়ী এরইমধ্যেই পাঞ্জাব সরকার নিরাপত্তার কাজ শুরু করে দিয়েছে। লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির নিরাপত্তা নিয়েও চলছে প্রস্তুতি। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজের তথ্য অনুসারে, টুর্নামেন্টের জন্য প্রায় ১২ হাজার ৬৬৪ জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৬১৮ জন লাহোরে এবং ৪৫৩৫ জন পুলিশ সদস্য রাওয়ালপিন্ডিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
আরও পড়ুন:
» চলমান বিপিএলে রংপুরকে প্রথম হারের স্বাদ দিল রাজশাহী
» পাত্তা পেল না ভারতের আবদার, পাকিস্তানের পক্ষে আইসিসি
সংবাদ মাধ্যমটি আরও উল্লেখ করে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং রেঞ্জার্সের সহায়তায় আকাশপথে নজরদারি চালানো হবে যাতে নজরদারি জোরদার করা যায়। সেফ সিটি ক্যামেরার মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার পথ পর্যবেক্ষণ করা হবে, যাতে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এর পাশাপাশি স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে কার্যক্রমে তদারকি করবেন ৪১১ জন কর্মকর্তা।
লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডি ছাড়াও করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট। সেখানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও কঠোর অবস্থানে পাকিস্তান। জানা গেছে অন্তত ৫ হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়ন করা হবে সেখানে। এই তিন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। জানা গেছে কেবল স্টেডিয়ামে থাকবেন অন্তত ১০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী। বাকিরা থাকবেন হোটেল এবং আশপাশের এলাকায়।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে দেশটিতে সফর করবে না ভারত। তাদের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানের বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। আট দল নিয়ে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে পরবর্তী ৯ মার্চ।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩জানুয়ারি২৫/এফএএস