ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ এর শেষ ষোলোর লড়াইয়ে দারুন শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে পর্তুগাল ও স্লোভেনিয়া। এদিন অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত গোলশূন্য সমতা থাকায় ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। যেখানে প্রতিপক্ষের প্রথম তিন শট রুখে দিয়ে পর্তুগালের জয়ের নায়ক বনে যান গোলরক্ষক ডিয়োগো কস্তা। আর এতেই তিনি গড়েছেন নতুন এক ইতিহাস।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো গোলকিপার হিসেবে টাইব্রেকারে প্রতিপক্ষের তিন শট ফিরিয়ে দিয়েছেন কস্তা। এমনকি কোন গোল হজম না করে টাইব্রেকার শেষ করার নজির প্রথমবারের মত গড়লেন এই পর্তুগিজ গোলকিপার। আর এতে করে ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল পর্তুগাল।
টাইব্রেকারে জোসিপ ইলিসিক, জুরে বালকোভেক এবং বেঞ্জামিন ভারবিকের নেয়া শট একে একে রুখে দিয়েছেন কস্তা। বিপরীতে প্রথমে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর পর্তুগালের হয়ে একে একে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও বের্নার্দো সিলভা। শুটআউটে ৩-০ গোলের জয় পায় রোনালদোর দল।
এদিন টাইব্রেকারের আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে পারতো পর্তুগাল। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়েও যখন গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোন দল, তখন খেলার ১১৫ তম মিনিটে বিশাল বড় এক ভুল করে বসেন পর্তুগালের সবথেকে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার পেপে। বাড়ানো বল পায়ে ধরে না পারলে প্রতিপক্ষ ফরওয়ার্ড বেঞ্জামিন সেসকো পেয়ে যান বল।
আর বল পেয়ে সেসকো একাই এগিয়ে যান ডি-বক্সের দিকে। পর্তুগিজ গোলরক্ষক কস্তার বিপক্ষে ওয়ান-টু-ওয়ান পজিশন তৈরি করে রোনালদো শিবিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেন সেসকো। তবে সে যাত্রায়ও ত্রাতার ভূমিকায় অবতরণ হন কস্তা। সামনে এগিয়ে এসে বাঁ পা দিয়ে রুখে দেন সেসকোর মাটি কামড়ানো শট। আর এতেই ইউরো থেকে ছিটকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসে পর্তুগাল।
পর্তুগালের জয়ের নায়ক কস্তা ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘এটি সম্ভবত আমার জীবনের সেরা ম্যাচ। আমি কি করতে চাই, সে সম্পর্কে আমি পরিষ্কার ছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল আমি পারবো। অবশ্যই আমরা প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের বিশ্লেষণ করেছি, তবে তারা পেনাল্টি নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের পরিবর্তন করেছে। অবশ্য দলকে সাহায্য করতে পেরে আমি খুব খুশি এবং খুব রোমাঞ্চিত।’
ম্যাচের ১০৫ তম মিনিটে রোনালদোর পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন স্লোভানিয়ার গোলরক্ষক। আর তারপরে কস্তার মনে হয়েছে এখন তার কিছু একটা করতেই হবে। আর সেসকোর সেই শট ঠেকিয়ে তেমনটাই করেছিলেন কস্তা, ‘রোনালদোর পেনাল্টি সেভ হওয়ার পর আমাদের বিশ্বাস রাখতে হত। আমরা সেই বিশ্বাস রেখেছিলাম। শেষ পর্যন্ত সেসকোর শটটা যখন সেভ করছিলাম, তখন মনে হয়েছিল আমাকে এটা করতেই হবে।’
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে কস্তার নৈপুণ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল
ক্রিফোস্পোর্টস/২জুলাই২৪/এফএএস