গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে পৌঁছেছিল বাংলাদেশ। তবে এই রাউন্ডের প্রথম দুই ম্যাচে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে হেরে অনেকটাই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে টাইগাররা। তাই নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চান বাংলাদেশের সহকারী কোচ নিক পোথাস।
সুপার এইট পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আগামীকাল সকালে আফগানদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। যদিও কাগজে-কলমে এখনও বিশ্বকাপে টিকে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে কোন মীরাকেলের আশা না করে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষটা জয় দিয়ে রাঙাতে চায় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য খেলবে টাইগাররা, গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে এমনটাই জানিয়েছেন টাইগারদের এই সহকারী কোচ।
পোথাস বলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে চাইবেন। আমরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবো। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের অনেক সাফল্য আছে। ওদের বিপক্ষে সিরিজও জিতেছি। আপনি ক্রিকেটের মতো খেলায় আপনার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন, এটা অনেক সম্মানের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে অতীতে অনেক সাফল্যই আছে। আমরা তাই এই ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ শেষ করতে চাই।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারই ছিল বাংলাদেশের সবথেকে সফলতম আসর। যেখানে গ্রুপ পর্বের বাঁধা টককে সুপার এইট খেলেছে টাইগাররা। এই বিষয়টিও মনে করিয়ে দিলেন পোথাস, ‘মানুষের আশা অনেক বেশি থাকে। আমরা এই প্রথম সুপার এইটে খেললাম যা অনেক বড় অর্জন। তারা যা করেছে তাও কম নয়। দুটো খুব ভালো দলের বিপক্ষে আমরা ম্যাচ হেরেছি।’
বড় দল গুলোর সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনতে চান নিক পোথাস। আর তাই তিনি খুঁজছেন দলে পার্থক্য গড়ে দেয়ার মতো কিছু খেলোয়াড়, ‘বড় দলগুলো কোথায় আছে আর আমরা কোথায় আছি এটা খুঁজে বের করতে হবে। বের করতে হবে আমাদের কোন ধরনের ক্রিকেটার প্রয়োজন। পাওয়ার ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্ভব নয়। পাওয়ার প্রয়োজন।’
২০০৭ সালের পর থেকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খুব বেশি এগোয়নি বাংলাদেশ। তবে একই জায়গায় আছে এমনটাও মানতে নারাজ পোথাস, ‘২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোন কোন বিষয় বদলে গেল এটা খুঁজে বের করতে হবে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ যা করেছে এখনও তা করে থাকলে ব্যাপারটায় চমকে যাওয়ার কিছু নেই। তবে এমন নয় যে তারা সামনে এগোয়নি।’
টাইগারদের তুলনায় অন্যান্য দল আরও বেশি এগিয়েছে। কেননা তারা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উন্নতির জন্য তৈরি করেছে অসংখ্য পাওয়ার ক্রিকেটার। যেখানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ, ‘অন্যান্য দল হয়ত আরও অনেক বেশি এগিয়েছে, একারণে বড় পার্থক্য তৈরি হয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে হলে পাওয়ার প্রয়োজন, পুরো বিশ্বে এটাই চলছে।’
আরও পড়ুন: উইন্ডিজদের বিদায় করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা
ক্রিফোস্পোর্টস/২৪জুন২৪/এফএএস