টেস্ট সিরিজে ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। এবার টার্গেট সংক্ষিপ্ত ফরমেটের ক্রিকেট। যেখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ সামনে রেখে গোয়ালিয়রে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ ও ভারত ক্রিকেট দল। তবে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদে বেশ অস্বস্তিতেই রয়েছে ক্রিকেটাররা।
কেননা অনুশীলনের বাইরে বাকি সময় টিম হোটেলেই বন্দি থাকতে হচ্ছে তাদের। ভারতের ঐতিহাসিক শহর গোয়ালিয়রে ঘোরার সুযোগ পাচ্ছে না উভয় দলের ক্রিকেটাররা। গোয়ালিয়র থেকে বাংলাদেশের ম্যাচ বাতিলের দাবিতে ‘গোয়ালিয়র বন্ধের’ ডাক দিয়েছে হিন্দু মহাসভা।
মূলত সম্প্রতি বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের পর স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা ও নিপীড়নের অভিযোগ এনে গোয়ালিয়রে টাইগারদের ম্যাচ আয়োজন নিষিদ্ধ করার দাবি জানায় ভারতের গান্ধী জয়ন্তীতে দক্ষিণপন্থী এই দল। বেশ কিছুদিন যাবত ম্যাচ বাতিল করতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করে আসছে তারা।
পিটিআই জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রায় ১৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের সুপারিশ অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর পর্যন্ত গোয়ালিয়র জেলায় বিক্ষোভ ও উসকানিমূলক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর রুচিকা চৌহান। পাশাপাশি দুই দলের ক্রিকেটারদের হোটেলের বাইরে যেতে বারণ করা হয়েছে।
ভেন্যুতে বাংলাদেশ ও ভারতীয় দল অনুশীলনে আসার পথে রাস্তায় গতকাল কারফিউ ছিল। আর ম্যাচের দিন ভারতীয় আইনের ধারা সেকশন ১৬৩ জারি করা হয়েছে। প্রশাসন বলছে, পাঁচজনের বেশি কোথাও একত্র হওয়া, আতশবাজী বহন করা, ছুরি বা বর্শার মতো ধারালো অস্ত্রপাতি বহন করা যাবে না।
কোনো স্থাপনার ২০০ মিটারের মধ্যে কেরোসিন, পেট্রোল ও অ্যাসিড বহন নিষিদ্ধ। এছাড়া সামাজিক মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অথবা ধর্মীয় উত্তেজনাকে উসকে দেয়, এমন পোস্ট, কোনো ব্যানার, পোস্টার, কাটআউট, পতাকা এবং উত্তেজক বার্তা বহনকারী কিছু প্রচার করা যাবে না।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ভালো করবে বাংলাদেশের মেয়েরা, বলছেন আসিফ মাহমুদ
ক্রিফোস্পোর্টস/৪অক্টোবর২৪/এফএএস