পেস বোলারদের জন্য স্বর্গরাজ্য মনে করা হয় পাকিস্তানকে। সেই ইমরান খান থেকে শুরু করে ওয়াসিম আকরাম-ওয়াকার ইউনুস হয়ে আরও কত যে তারকা পেসারের জন্ম দিয়েছে পাকিস্তান। এমনই একজন সদ্য অবসর ভেঙে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা করে নেওয়া ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমির। অথচ এই আমিরই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুতে তারকাখ্যাতি আর অর্থের লোভে পড়ে ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন পাঁচ বছর।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফের ক্রিকেটে ফেরেন এই পাকিস্তানি সেনসেশন। আগের রূপে ঝলক দেখাতে শুরু করেন। কিন্তু ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিজের গায়ে যে কালির দাগ লেগেছিল, সেটা আর মুছতে পারেননি আমির। সেই কাণ্ডের জন্য এখনও তিনি সমালোচনা সইছেন।
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ফিক্সিং করে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা পান আমির। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরে দলের হয়ে অবদান রাখতে থাকেন এই তারকা বোলার। কিন্তু ২০২০ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় হুট করে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে বসেন আমির।
তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার কারণে পিসিবি দলের কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তন আনায় অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরেছেন এই বাঁ হাতি পেসার। নিজের অতীত ক্যারিয়ার সম্পর্কে আমির বলেন, ‘অতীতের সেই বড় ভুলের জন্য আমাকে শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে। ক্যারিয়ারে আমি ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিলাম আর ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অবসরে ছিলাম। এর ফলে ক্যারিয়ারের ৯ টি বছর আমার হারাতে হয়ছে। তবে এসব কিছুকেই আল্লাহর ইচ্ছা হিসেবে মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পাওয়ার পর হওয়া সমালোচনা নিয়ে আমিরের জবাব, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলেও জাতীয় দলে আমার ও ইমাদের সুযোগ পাওয়া নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। তাদের কাছে প্রশ্ন, পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট কোনটা? অবশ্যই পিএসএল। আমরা দু’জনই পিএসএলে নিয়মিত খেলে পারফর্ম করার পাশাপাশি অন্যান্য লিগেও খেলে যাচ্ছি। তাহলে আমাদের টি-টোয়েন্টি দলে নেওয়া হলে সমস্যাটা কি?
আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হবে না: সাকিব
ক্রিফোস্পোর্টস/৫মে২৪/এমএস/এসএ