ব্যাটে-বলের লড়াইয়ে জমে উঠেছে আইপিএলের চলমান আসর। ইতোমধ্যে আসরের ৪৬ টি ম্যাচ সমাপ্ত হয়েছে। তবে গ্রুপ পর্বের আরো ২৪টি ম্যাচ বাকি রয়েছে। শীর্ষ চারে জায়গা করে নিতে দারুণ লড়াইয়ে মেতে উঠেছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। এখন দেখার পালা শেষ পর্যন্ত কোন কোন দল প্লে-অফে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রাজস্থান রয়্যালস। আসরের সর্বোচ্চ জয় নিয়ে অন্যান্যদের ধরাছোঁয়ার বাইরে সঞ্জু স্যামসনের দল। এখন পর্যন্ত নয় ম্যাচে জয় পেয়েছে ৮টি, বিপরীতে হার মাত্র ১টি ম্যাচে। আরে তাতেই ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিতের খুব কাছেই দলটি।
শীর্ষস্থানে রাজস্থানের রাজত্ব চললেও প্লে-অফের বাকি তিন জায়গা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে। রাজস্থানের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৮ ম্যাচে ৫ জয় ও তিন হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে নারিন-রাসেলরা।
সমান পয়েন্ট নিয়েও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ধোনি-মুস্তাফিজদের চেন্নাই সুপার কিংস। চেন্নাইয়ের নেট রানরেট ০.৮১০, যেখানে কলকাতার নেট রানরেট ০.৯৭২। এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে ৫ জয়ের বিপরীতে ৪টি ম্যাচে হেরেছে আসরের সফলতম দল চেন্নাই।
চলতি আসরে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ রয়েছে তালিকার চার নম্বরে। চেন্নাইয়ের সমান ৯ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে তাদেরও পয়েন্ট ১০। তবে তাদের নেট রানরেট ০.০৭৫, যা কলকাতা ও চেন্নাইয়ের তুলনায় অনেক কম।
তালিকার পাঁচ ও ছয়ে থাকা লখনৌ সুপার জায়ান্টস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের পয়েন্টও ১০। লখনৌ ৯ ম্যাচে ৫ জয় এবং দিল্লি ১০ ম্যাচে ৫ জয় পেয়েছে। লখনৌর নেট রানরেট ০.০৫৯, আর দিল্লির নেট রানরেট -০.২৭৬।
এছাড়া সাতে থাকা গুজরাট টাইটান্স ১০ ম্যাচে ৪ জয় পেয়েছে। আর পাঞ্জাব কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স সমান ৯টি ম্যাচে খেলে ৩টি করে জয় নিয়ে যথাক্রমে তালিকার আট ও নয় নম্বরে অবস্থান করছে।
আর টেবিলের তলানিতে রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ১০ ম্যাচে ৩ জয়ের বিপরীতে ৭টি ম্যাচে হেরেছে কোহলি-ডু প্লেসিরা।
আরও পড়ুন: লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের নিলামে বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯এপ্রিল২৪/বিটি