দেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার রাজকন্যাদের নৈপুণ্যে টানা দিতে বারের মত সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। দুবারেই এ টুর্নামেন্ট জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন পাহাড়ি কন্যারা। তাইতো এবারও তাদের রাজকীয়ভাবে সংবর্ধনা দেবে রাঙ্গামাটি প্রশাসন।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান পাহাড়ি কন্যাদের সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘নেপালের কাঠমাণ্ডুতে টানা দ্বিতীয় বারের মতো উইমেনস সাফ চ্যাম্পিয়ন বিজয়ী পাহাড়ের কন্যাদের এবারও সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হবে। এবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান কীভাবে ও কেমন আয়োজনে করা যায় এ ব্যাপারে আমরা পরিকল্পনা করছি।’
গত (বুধবার) নেপালের কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
দক্ষিণ এশিয়ায় লাল-সবুজের পতাকাকে সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে বড় অবদান রেখেছেন পাহাড়ি তিন কন্যা ঋতুপর্ণা চাকমা, রূপনা চাকমা এবং মনিকা চাকমা। নারী চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরে ব্যক্তিগত পারফরমেন্সে উজ্জ্বল ছিলেন এই তিনজন। টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন ঋতুপর্ণা এবং অন্যদিকে সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন রূপনা।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে এই তিনজন ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ দিন ৫২ মিনিটে প্রথম গোলটি করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান মনিকা চাকমা। অবশ্য প্রথম গোলের চার মিনিটের মাথায় গোল করে সমতায় ফিরিয়েছিল নেপাল। কিন্তু ৮২ মিনিটের মাথায় ঋতুপর্ণার দুর্দান্ত গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।
ঋতুপর্ণা চাকমার দেশের বাড়ি রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দুর্গম মগাছড়ি গ্রামে। রূপনা চাকমার বাড়ি রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ভূঁইয়াদাম গ্রামে। আর মনিকা চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের সুমান্ত পাড়ায়।
আরও পড়ুন: অবসরের পর অধিনায়ক হয়ে ফিরছেন বিরাট কোহলি
ক্রিফোস্পোর্টস/১ নভেম্বর ২৪/এইচআই