স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোর মধ্যে অন্যতম রিয়াল মাদ্রিদ। যারা ক্লাবটিকে চেনে বা ভালোবাসে তাঁরা ক্লাবটির হোম ভেন্যুকেও চিনে থাকবে। রিয়াল মাদ্রিদের হোম ভেন্যু হিসেবে পরিচিত সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। লস ব্লাঙ্কোসদের আইকনিক মাঠ হিসেবেও পরিচিত স্টেডিয়ামটি।
ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির ঐতিহ্যে গাঁথা রয়েছে হোম ভেন্যু হিসেবে পরিচিত সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। এই স্টেডিয়ামেই জড়িয়ে রয়েছে রিয়ালের শত শত উত্থান-পতন, ব্যর্থতা-সফলতা, রয়েছে শত শত বীরত্ব গাঁথা ইতিহাসও। এবার ঐতিহ্যবাহী সেই স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন হতে চলেছে। মূলত ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা।
দীর্ঘ ৭০ বছর পর ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করতে চলেছে ক্লাবটি। মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকে স্টেডিয়ামটির নতুন নামকরণ করা হবে দ্য বার্নাব্যু।
আরও পড়ুন:
» অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে কোহলিকে নিয়ে বিদ্রুপ
» ইতিহাসের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে বাবরের বিশেষ রেকর্ড
এই স্টেডিয়ামের সূচনা হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। যা স্পেনের ২য় এবং ইউরোপের ৩য় বৃহত্তম স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত। ১৯৫৫ সালের ৪ জানুয়ারি তৎকালীন রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও ক্লাবটির ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বার্নাব্যুর নামানুসারে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়।
যে বার্নাব্যুর নামে স্টেডিয়ামটি নামকরণ করা হয়েছে সেই বার্নাব্যুর পুরো জীবনটাই জড়িয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে। রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলার হিসেবে ক্লাবটির সঙ্গে যাত্রা শুরু বার্নাব্যুর। খেলোয়াড়ি জীবনে দলটির অধিনায়কত্বের দায়িত্বও সামলেছেন ভালোভাবেই। খেলা ছেড়ে ক্লাবটির পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষে হয়েছেন ক্লাব প্রেসিডেন্টও। এত এত অর্জনের জন্য তাঁর নামেই ঘোষিত হয়েছে স্টেডিয়ামটি। যদিও খেলোয়াড়ি জীবন ছাপিয়ে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেই সাফল্যের পাল্লা ভারি করেছেন তিনি।
টানা ৩৫ বছর ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট পদ সামলিয়েছেন বার্নাব্যু। তাঁরই প্রেসিডেন্সিতে ১৬ টি লা-লিগা শিরোপা, ৬টি ইউরোপিয়ান কাপ এবং ৬টি স্প্যানিশ কাপসহ নানারকমের শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়াও অন্যান্য ক্লাবের বিপদের সময় সাহায্য করে ওই সকল ক্লাবকে ঘুরে দাঁড়াতেও সাহায্য করেছেন বার্নাব্যু।
১৯৫৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যখন বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ২৩ জন মারা যায়, তখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেন বার্নাব্যু। ১৯৭৮ সালে ৮২ বছর বয়সে মারা যান রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই সংগঠক ও প্রেসিডেন্ট।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭ডিসেম্বর২৪/এসআর/বিটি