আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর পরে ফেরা নতুন কিছু নয়। অবসর ভেঙে ক্রিকেট মাঠে ফিরে রেকর্ড গড়ার নজিরও রয়েছে। তবে হঠাৎ ব্যাট-বল তুলে রাখার পেছনের গল্পটা সবার ক্ষেত্রেই প্রায় অভিন্ন। সেখানে অভিমানের পাল্লাই বেশি ভারী।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসর ভেঙে মাঠে ফেরা সেরাদের নিয়ে আজকের আয়োজন-ফেরার গল্প:
জাবেদ মিয়াদাদ:
১৯৯৬ সালে অবসর নিয়েছিলেন পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটার মিয়াদাদ। অবসরের ১০ দিন পরে আবার ফিরেন ক্রিকেটে। তার মুখে হাসির পাশাপাশি ব্যাট ও হেসেছিল আগের মতো
ভানুকা রাজাপাকশা:
শ্রীলংকার এ ক্রিকেটার অনেকটা নিরবে ২০২২ সালে অবসর নিয়েছিলেন। বোর্ডের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় তাকে ৫ হাজার ডলার জরিমানা করেছিল বোর্ড। কোচ মিকি আর্থারের পদত্যাগের পরেই অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি।
কেবিন পিটারসেন:
ইংল্যান্ড ক্রিকেটের অন্যতম দামি ও সেরা ব্যাটার ২০১১ সালে ওয়ানডে ও টি টুয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তার কয়েক মাস পর বোর্ডের অনুরোধে আবার ক্রিকেটে ফিরেন স্টাইলিশ কেবিন পিটারসেন।তার অনেক ট্রেডমার্ক শট ক্রিকেটের বর্তমান সৌন্দর্য।
শহীদ আফ্রিদি:
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৫১টি ছক্কা হাকানো আফ্রিদির জীবনে রয়েছে নানা আলোচনা- সমালোচনা। বুম বুম খ্যাত আফ্রিদি ২০০৬,২০১০,২০১১ ও ২০১৭ সালে সাময়িক অবসর নিয়েও আবার ফিরেন ক্রিকেটে।তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি চারবার অবসর নিয়ে ক্রিকেটে ফিরেন।
ব্রেন্ডন টেলর:
অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলা টেলর ২০১৫ সালে অবসর নেন। ২০১৭ সালে অবসর ভেঙে আবার ক্রিকেটে ফিরেন পেরিস্কুপ মাস্টার খ্যাত এ উইকেট কিপার ব্যাটার। বর্তমানে জাতীয় দলে না থাকলেও বিভিন্ন লীগ খেলে যাচ্ছেন তিনি।
মঈন আলী:
ক্রিকেটের ধকল ও পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য ২০২২ সালে টেস্ট থেকে অবসর নেন। কয়েক মাস পরে আবার তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেন। সম্প্রতি শেষ হওয়া ২০২৩ অ্যাশেজ সিরিজের পর টেস্ট ক্রিকেটকে ইতি টেনে আবারও অবসরে যান।
ডোয়াইন ব্রাভো:
বেতন ভাতা ও ভিনদেশী লীগ খেলার জন্য ২০১৮ সালে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। তারপর বোর্ডের অনুরোধে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের পুনর্জাগরণের জন্য ২০২০ টি টুয়েন্টিত বিশ্বকাপে যোগদান করেন।
ইমরান খান:
১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তানি সাবেক অধিনায়ক ইমরান ১৯৮৭ সালে অবসর নিয়েছিলেন । অবসর ভেঙে ফিরেই পাকিস্তানকে এনে দেয় দীর্ঘদিনের অধরা শিরোপা । এখন পর্যন্ত এটাই পাকিস্তানের সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়।
জাভাগাল শ্রীনাথ:
২০০২ সালে অবসর নেন তিনি। তার কয়েকমাস পরেই ফিরছিলেন ক্রিকেটে।
জিরমি টেলর:
উইন্ডিজ এই গতিবান বলার ২০১৬ সালে টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন । তার কয়েকমাস পরেই আবার ফিরেন টেস্ট ক্রিকেটে । তার টেস্ট ক্যারিয়ারে বর্তমান উইকেট ৬৭টি।
তামিম ইকবাল:
২০২৩ সালে দর্শকদের সমালোচনা ও বোর্ডের সঙ্গে বিবাদে অভিমান করে ,সংবাদ সম্মেলন ডেকে অবসর নিয়েছিলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম। তার এক দিন পর প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ অবসর ভাঙেন তিনি। তবে ক্রিকেটে ফিরলেও নেতৃত্বে ফিরছেন না এই ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন হেলস
ক্রিফোস্পোর্টস/৪আগস্ট২৩/আরএইচ/এসএ