
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দারুণ শুরু করেছিলেন রিশাদ হোসেন। প্রথম তিন ম্যাচে ৮টি উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন, যেখানে ম্যাচপ্রতি তাঁর শিকার ছিল ৩, ৩ ও ২টি করে। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে এসে যেন থেমে গেল তার সেই গতি।
আজ বল হাতে মাত্র দুই ওভার করার সুযোগ পান রিশাদ, তবে উইকেটের দেখা মেলেনি। ব্যাট হাতেও ছিলেন নিষ্প্রভ—১৩ বলে করেন মাত্র ১৩ রান।
রিশাদের এই ম্লান পারফরম্যান্সের দিনে তার দল লাহোর কালান্দার্সও ব্যর্থতার ছাপ রেখেছে। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পেশোয়ার জালমির কাছে।
আরও পড়ুন
» ব্যাটারদের ব্যর্থতার ম্যাচে রিশাদের ১৩, বল হাতে পাবেন সাফল্য?
» মেসিকে ভুলে গেলেন আলকারাজ, উঠল সমালোচনার ঝড়
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে লাহোর। মাত্র ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারায় দলটি, অষ্টম ওভারেই নামতে হয় রিশাদকে। শুরুতে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন তিনি—প্রথম ৮ বলে আসে মাত্র ২ রান। দশম ওভারে হুসাইন তালাতকে ছক্কা হাঁকিয়ে খানিকটা স্বস্তি ফেরান, এরপর শেষ বলেও মারেন চার। তবে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। পরের ওভারে আলজারি জোসেফের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে মোহাম্মদ হারিসের হাতে ক্যাচ দেন।
লাহোরের পক্ষে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন সিকান্দার রাজা, তার ৫২ রানের ইনিংসই দলকে কোনো রকমে ১২৯ রানে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পেশোয়ার শুরুতে কিছুটা চাপে পড়লেও দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায়। রিশাদ নবম ওভারে বোলিংয়ে আসেন, তবে দুটি ওভারেই দেন যথাক্রমে ৭ ও ১১ রান, সঙ্গে একটি করে চার হজম করেন। এরপর আর তাকে বোলিংয়ে আনা হয়নি। অবশ্য দলের অন্য বোলাররাও পেশোয়ারকে চাপে ফেলতে ব্যর্থ হন।
বাবর আজম ৪২ বলে অপরাজিত ৫৬ এবং হুসাইন তালাত ৩৭ বলে অপরাজিত ৫১ রান করে ২০ বল হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এই জয়ে ৫ ম্যাচে পেশোয়ার জালমির দ্বিতীয় জয় পূর্ণ হলো। বিপরীতে, লাহোর ৫ ম্যাচে হেরেছে তিনটিতেই। টেবিলের শীর্ষে আছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ১০ পয়েন্ট নিয়ে, দ্বিতীয় স্থানে করাচি কিংস (৬ পয়েন্ট)।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৫এপ্রিল২৫/এসএ
