আধুনিক ক্রিকেটে লেগস্পিনারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই। বেশিরভাগ দলই তাদের বোলিং শক্তিমত্তা বাড়াতে লেগস্পিনার খেলাচ্ছে। আফগানিস্তানের রশিদ খান, ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা, দক্ষিণ আফ্রিকার তাবরাইজ শামসি, শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার মত বিশ্বমানের লেগস্পিনাররা যেকোনো মুহূর্তেই ম্যাচেই মোমেন্টাম বদলে দিতে পারেন।
বাংলাদেশ দলে দীর্ঘদিন ধরেই একজন লেগস্পিনারের ঘাটতি ছিল। আর এই ঘাটতি পূরণে ‘আশীর্বাদ’ রূপে আবির্ভূত হয়েছেন রিশাদ হোসেন। ইতোমধ্যেই বোলিং ভেলকিতে দলের একজন আস্থাবান ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ২১ বছর বয়সী এই স্পিন অলরাউন্ডার।
গত বছরের মার্চে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় রিশাদের। আর বছরের শেষদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত মুখ এই লেগি। বাইশ গজে নিজের বোলিং জাদু দেখিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ করে নিয়েছেন তিনি। আর প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই বাজিমাত করেছেন রিশাদ। নাম লেখিয়েছেন রেকর্ডবুকে।
আরও পড়ুন:
» গুলবাদিনের চোটের ‘অভিনয়’ নিয়ে তামিমের মন্তব্য
» বিশ্বকাপ থেকে যত টাকা পেল বাংলাদেশ
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও আফগানিস্তানের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তদের। গ্রুপ পর্বে ৪ ম্যাচে ৩ জয়ের পর, সুপার এইটে টানা ৩ ম্যাচেই হেরেছে টাইগাররা। দলের এমন ব্যর্থতার সময়েও বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন রিশাদ। দারুণ কয়েকটি স্পেলে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে অবদানও রেখেছেন এই লেগি।
নিজের প্রথম আসরে ৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট শিকার করেছেন রিশাদ। যেখানে ওভারপ্রতি ৭.৭৬ ইকোনমিতে রান দিয়েছেন তিনি। আর তাতেই রেকর্ডবুকে নিজের নাম লেখিয়েছেন এই উঠতি তারকা।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক এখন রিশাদ। যা আগে সাকিব আল হাসানের দখলে ছিল। ২০২১ আসরে ১১টি উইকেট শিকার করেছিলেন এই অলরাউন্ডার।
তাছাড়া চলতি আসরে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এই আসরে সাকিবের ২০২১ আসরের সমান ১১টি উইকেট নিয়েছেন তানজিম।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৫জুন২৪/বিটি