২০২২ সালে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এরপর গেল কিছুদিন আগেই পরবর্তী মৌসুমে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নিজেদের করে নেয় সাবিনা খাতুনরা। আর এতেই ইউরোপের ফুটবলে খেলার হাতছানি দেখা দেয় সাফজয়ী দুই ফুটবলারের সামনে। ধারণা করা হচ্ছিল নতুন বছরে নতুন ইতিহাস গড়বে বাংলার নারী ফুটবলাররা।
সাফ জয়ের পর সাবিনা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমাকে দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ইউরোপের নর্থ মেসিডোনিয়ার ক্লাব টিভেরিজা ব্রেরা। দলটির কর্তারা সাবিনা ও ঋতুকে খেলানোর জন্য প্রক্রিয়াও শুরু করেন। এমনকি সে দেশের ভিসা পাওয়ার জন্য সব কাগজপত্র পাঠিয়ে দেন তারা। শোনা গিয়েছিল এ বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশের দুই নারী ফুটবলারের সাথে চুক্তি করবে তারা।
তবে এই প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তের আক্ষেপে ইউরোপে যাওয়া হচ্ছে না এই দুই লাল সবুজের প্রতিনিধির। মূলত সেই দেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন এবং ক্লাবটির আর্থিক টানাপোড়নের কারণে চুক্তি থেকে সরে এসেছে তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ নারী দলের গোলরক্ষক কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জল।
আরও পড়ুন:
» সিলেটকে নিয়ে উর্দুতে মন্তব্য করলেন শহীদ আফ্রিদি
» অ্যাকশন পরীক্ষায় আবারও ফেল, সাকিব প্রসঙ্গে কী হবে সিদ্ধান্ত?
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সাবেক কোচ মেসিডোনিয়ান ইয়োগোস্লাভ ত্রেনচোভস্কির সঙ্গে গোলরক্ষক কোচ উজ্জলের সুসম্পর্ক আছে। তার সঙ্গে আলাপ করেই বিষয়টি জানতে পেরেছেন উজ্জল। এই গোলরক্ষক কোচ জানান, ‘ইউরোপে আর হবে না। ১৫ তারিখ থেকে ফুটবলারদের চেয়েছিল তারা। তবে তাদের রাজনৈতিক সমস্যা হয়েছে নাকি।’
ইউরোপে খেলতে না পারার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা নিজেও। তিনি দেশের এক গণমাধ্যমকে জানান, ‘মেসিডোনিয়ার ক্লাবটির নাকি কিছু সমস্যা হয়েছে। রাজনৈতিক পালাবদল, আবার তাদের নাকি বাজেট সংকট রয়েছে। এসব কারণে আমাদের আর সেখানে খেলা হবে না।’
এদিকে ইউরোপের ক্লাবে খেলার সম্ভাবনা শেষ হলেও দেশের বাইরে নতুন আরেকটি প্রস্তাব রয়েছে সাবিনা, ঋতুপর্ণা ও তহুরা খাতুনদের কাছে। জানা যায় ভারতের ক্লাব থেকে খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন তারা। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেও কোন দলের হয়ে খেলবেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে এখনই নারাজ ঋতুপর্ণা। কেননা আগে থেকেই ইউরোপের মত কোন কিছু জানিয়ে রাখতে চান না তিনি।
তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় প্রস্তাবটি আরও আগে দিয়েছেন ভারতের নারী দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার বালা দেবি। গত মৌসুমে কলকাতার ক্লাব শ্রীভুমির হয়ে খেলেছিলেন ৩৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ইউরোপে খেলা নিয়ে আলোচনা চলার কালেই বালা দেবী নিজেদের ঘরোয়া ওমেন্স লিগে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল এই তিনজনকে। তখন বলা হয়েছিল ইউরোপে খেলা না হলে ভারতের এই লেগে খেলতে পারে তারা।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯জানুয়ারি২৫/এফএএস