দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ঘুচিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরলো ভারত। গোটা আসরে পারফর্ম করতে না পারা বিরাট কোহলি ফাইনাল ম্যাচে অসাধারণ ইনিংস খেলে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন দলের আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অধিনায়ক শর্মা। এবার বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা দিলেন ভারতের এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনাল খেলায় ম্যাচ সেরা ইনিংস উপহার দিয়ে দলকে জিতিয়েছেন বিরাট কোহলি।ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিতে এসে হার্শা ভোগলেকে বিরাট কোহলি জানিয়েছেন নিজের অবসরের ঘোষণা। নতুনদের হাতে তুলে দিতে চান ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দায়িত্ব। একই পথে হেটেছেন রোহিত শর্মাও। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে জানিয়েছেন এখানেই থামতে চান তিনি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, ‘এটাই ভারতের হয়ে আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। এর পরে আমি আর দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলব না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এর থেকে ভালো মুহূর্ত হতে পারে না।
আমি যখন থেকেই এই ফরম্যাট খেলেছি তখন থেকেই উপভোগ করেছি। আমি এটাই চেয়েছি- আমি বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত যে জিততে পেরেছি তার জন্য খুশি।’
ফাইনাল শেষে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিতে এসে বিদায়ের কথা জানালেন বিরাট কোহল। তিনি বলেন, ‘এটা আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। আমরা ঠিক এটাই অর্জন করতে চেয়েছিলাম। রান কখনও হবে, আবার কখনও না। সৃষ্টিকর্তা মহান। একদিনই পারফর্ম করলাম আর এটা কাজে এলো দলের। এটাই ভারতের হয়ে আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।’
পরের প্রজন্মের জন্যে জায়গা ছেড়ে দেয়ার কথা জানিয়েছেন ভারতের এই সেরা ব্যাটার। কোহলি বিদায় জানিয়ে বলেন, ‘চেষ্টা করেছি দলে যতটা সম্ভব অবদান রাখার। শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে চেয়েছিলেন, পরিস্থিতিকে সম্মান দেখিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। এখন পরের প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে। দারুণ কিছু খেলোয়াড় আছে যারা দলকে সামনে এগিয়ে নিতে পারবে।’
২০১১ বিশ্বকাপ জেতা দলের সঙ্গে ছিলেন কোহলি। এরপর অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। ম্যাচ শেষে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে কোহলি বলেন, ‘এত বছর ধরে একটা বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমরা অপেক্ষা করেছি। রোহিতের মতো ক্রিকেটারের দিকে তাকিয়ে দেখুন। ৯টা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে। আমার সেখানে ছ’টা। রোহিত এই ট্রফির যোগ্য। এই মুহূর্তে আবেগ ধরে রাখা আমার কাছে কঠিন।’
২০০৭ সালের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্কোয়াডে ছিলেন রোহিত। এবার নিজের শেষ বিশ্বকাপটিও রাঙালেন চ্যাম্পিয়ন হয়েই। বিদায়ের সময় রোহিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ১৫৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৪ হাজার ২৩১ রান জমা হয়েছে তার নামের পাশে। অপরদিকে ১২৫ ম্যাচে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে এসেছে ৪ হাজার ১৮৮ রান। টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিলেও ওয়ানডে ও টেস্ট খেলে যাবেন তারা।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁদিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা জিতল ভারত
ক্রিফোস্পোর্টস/৩০জুন২৪/এফএএস