কানপুর টেস্টে জয়-পরাজয়ের ফলাফল আসবে, সেটা হয়তো চতুর্থ দিনও ভাবতে পারেনি কেউ। কেননা প্রথম তিন দিনে মাঠে গড়িয়ে মাত্র ৩৫ ওভারের খেলা। যেখানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের খেলা পুরোটাই ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। তবে সেই ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত অভিনব কৌশলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ভারত।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করে ভারত। যেখানে গোটা ইনিংসে চার-ছক্কার বন্যায় অসংখ্য রেকর্ড গড়েন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ৩৫ ওভারের আগেই ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ঝড়ো ব্যাটিংয়েই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ভারত। আর এমন অপ্রত্যাশিত আগ্রাসনে রীতিমত কোণঠাসা হয়ে পড়ে সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ গুড়িয়ে দিয়ে পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারত।
বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করার পেছনে ভারতের এক দৃঢ় সংকল্প- ‘পরিস্থিতি যেমনই হোক, জিততে হবে’ কাজে দিয়েছে বলে মনে করেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাছাড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্রিকেটাররা পারফর্ম করতে না পারলে এই জয় সম্ভব হতো না বলেও জানান তিনি।
রোহিত বলেন, ‘আগে বোলাররা নিজেদের কাজ করেছে। তারা প্রয়োজনীয় উইকেটগুলো এনে দিয়েছে। এরপর ব্যাটাররা কিছুটা ঝুঁকি নিয়েছি। জানতাম, এভাবে খেললে ম্যাচের ফল যেকোনো দিকে যেতে পারে। নেমেই মেরে খেলার সিদ্ধান্ত নিতে কোচ ও খেলোয়াড়দের যথেষ্ট সাহসী মানসিকতা দেখাতে হয়েছে। এটা কাজে না দিলে সবাই আমাদের সমালোচনা করত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল পরিষ্কার, ম্যাচে ফলাফল নিয়ে আসা। যেভাবে সেটা সম্ভব হতে পারত, দলের সবাই সেভাবেই করেছে। সিদ্ধান্ত আমরা ড্রেসিং রুমেই নিয়েছিলাম। আমার মনে হয় এটা একটা অসাধারণ সিরিজ ছিল। সিরিজটা অনেকেরই নজর এড়িয়ে যেতে পারত।’
এই সিরিজে নিজেদের ফিল্ডিং বিভাগ ভালো করেছে বলেও উল্লেখ করেন রোহিত, ‘আমাকে এইমাত্র জানানো হয়েছে, সিরিজে ২৪ ক্যাচের মধ্যে ২৩টিই আমরা নিতে পেরেছি। এটা খুবই ভালো ব্যাপার, বিশেষ করে স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডারদের জন্য। স্লিপে এতগুলো ক্যাচ যাচ্ছে, ভারতে খেলা হলে এমনটা প্রতিনিয়ত দেখা যায় না।’
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতকে হারাতে চান শান্ত
ক্রিফোস্পোর্টস/৫অক্টোবর২৪/এফএএস