পাকিস্তান সফরের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে একটু আলো ছড়িয়েছিল বাংলাদেশের বোলাররা। রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টিস্নাত দিনে খেলা মাঠে গড়ায় মাত্র ৪০ ওভারের মতো। দুই সেশন বৃষ্টি বাধায় থাকার পর দিনের শেষ সেশন এ মাঠে নেমেই শরীফুল হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৯ ওভারের মাথায় ফেরান ৩ টপঅর্ডার ব্যাটারকে।
মাত্র ২ রানে আব্দুল্লাহ শফিককে ফেরান হাসান মাহমুদ। এরপর শরীফুলের শিকার হয়ে ফেরেন শান মাসুদ মাত্র ৬ রানে। পরে পাকিস্তানের সব থেকে নির্ভরশীল ব্যাটার বাবর আজম মাত্র ২ বল খেলে ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তখনও মাত্র ৯ ওভারের খেলা চলমান, হাসান-শরীফুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম দিনের শেষ সেশনে দাপট দেখায় বাংলাদেশের পেস এটাক।
দলীয় সংগ্রহ যখন ১৬, তখন অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ৩ ব্যাটারকে ফিরতে দেখেছেন সায়েম আইয়ুব। তবে ধুকতে থাকা পাকিস্তানের হাল ধরেন সউদ শাকিলের সাথে জুটি বেঁধে। এই জুটি চতুর্থ উইকেটে ৯৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। সায়েম খেলেন ৯৮ বলে ৫৬ রানের একটি ইনিংস, শেষ পর্যন্ত তাদের জুটিও ভাঙেন হাসান মাহমুদ। শাকিল অপরাজিত আছেন ৫৭ রানে এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান ২৪ রানে।
আরও পড়ুন:
» বিকেলে মাঠে নামবে বাংলাদেশ, যেভাবে দেখবেন ম্যাচ
» রিজওয়ানদের কত রানে আটকাতে চান, জানালেন হাসান মাহমুদ
সায়েম ব্যক্তিগত ইনিংস তিন অঙ্কের ঘরে নিতে না পারলেও ইনিংসের শুরু থেকে টাইগারদের বোলিং ভালোভাবেই সামলেছেন। প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের পেসারদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দুর্দান্ত বোলিং করেছে বাংলাদেশ। আমাদের জন্য ইনিংস শুরুর কাজটা একেবারেই সহজ হতে দেয়নি তারা। এমনকি কোন সুযোগ ও দেয়নি। এরপর ম্যাচে ফেরার জন্য নিজেদের সময় আসার আগ পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হয়েছে।’
নড়বড়ে শুরু থেকে পাকিস্তানকে উতরে দেওয়া এই ব্যাটার সহজাত আক্রমণাত্মক চেহারা পাল্টে খেলেছেন রক্ষণাত্মক ইনিংস। দ্রুত উইকেট হারানোর ফলে খেলেছেন ডিফেন্সিভ ভঙ্গিতে। চেষ্টাও ছিলো খেলবেন দীর্ঘ সময়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যাক্তিগত ফিফটি পাওয়ার পরই ফিরতে হয় তাকে। এরপর তিনি আরো জানান, ‘আমার মনোযোগ ছিলো আরো বেশি সময় উইকেটে থেকে ইনিংস দীর্ঘ করা, কিন্তু সব কিছু আমার হাতে নেই।’
সর্বশেষ কন্ডিশন নিয়েও মুখ খোলেন এই ওপেনার। তিনি আরো জানান, ‘লাল বলের ক্রিকেটকে কোনোভাবেই হালকা করে নেওয়ার সুযোগ নেই, এই কন্ডিশনে যে কোন ব্যাটারদের জন্য শুরু করা কঠিন হবে।’
প্রথম দিনের খেলা শেষে বৃষ্টি বাধা পেরিয়ে খেলা হয়েছে মোট ৪১ ওভারের। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে সবকটি উইকেট নিয়েছেন পেস বোলাররা। দুটি কারে উইকেট তুলেছেন শরীফুল ও হাসান। উইকেট পাননি নতুন পেসার নাহিদ রানা, মিরাজ এবং সাকিব আল হাসান।
ক্রিফোস্পোর্টস/২২আগস্ট২৪/এএস/এজে