Connect with us
ক্রিকেট

পিসিবি থেকে বড় প্রস্তাব পেয়েও রাজি হননি শাহীন আফ্রিদি

Shahen Afridi
অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়ে সহঅধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব!

পাকিস্তান দলের সঙ্গে আনপ্রেডিক্টেবল বা অননুমেয় শব্দটি অনেক আগে থেকেই জুড়ে গেছে। এবার হয়তো এর সঙ্গে ‘নাটকীয়তা’ শব্দটিও জুড়ে দেওয়ার সময় হয়ে এসেছে। না হলে মাত্র এক সিরিজ পর যার অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, সেই শাহিন আফ্রিদিকেই কি করে আবার বিশ্বকাপে সহ-অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেয় তারা। তবে সেই প্রস্তাবে স্বাভাবিকভাবেই রাজি হননি এই পাকিস্তানি পেসার।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে – শাহিনই নাকি এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে, তাকে নির্বাচক কমিটি থেকে বাবর আজমের সহ-অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি এ প্রস্তাবে রাজি হননি। ফলে পাকিস্তানের ডেপুটি হিসেবে বিশ্বকাপে মোহাম্মদ রিজওয়ান অথবা শাদাব খানকে দেখা যেতে পারে। অবশ্য রিজওয়ানই ডেপুটি হওয়ার দৌঁড়ে বেশি এগিয়ে আছেন বলে জানা গেছে।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পিসিবি বাবরকে অধিনায়ক থেকে সরিয়ে শাহিন আফ্রিদিকে দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে দায়িত্ব পালনের পরই শাহিনকে সরিয়ে ফের বাবরকে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দলপতির আসনে বসায় পিসিবি। কিন্তু বিষয়টি মোটেই ভালোভাবে সুরাহা করেনি ক্রিকেট বোর্ড। শাহিনের ব্যাপারে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছিল পিসিবি কিন্তু শাহিন সেটিকে ভুলে বলে আখ্যা দিয়েছিল।

এমনকি শাহিনকে দায়িত্ব থেকে সরানোর সময় তাকে কোনো বিবৃতিও দিতে বলেনি ক্রিকেট বোর্ড। তারা সব নিজেদের ইচ্ছে মত করেছিল। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ শাহিনের সঙ্গে পরে মহসিন নাকভির ক্রিকেট বোর্ড বৈঠকও করেছিল। তাই এত সব কাহিনীর পর আবারও শাহিনকেই কেন সহ-অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলো এটাই এখন বড় প্রশ্ন।

বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার ডেডলাইনের আগের দিন (গতকাল) বৈঠকে বসেছিল পিসিবি। এরপরই বাবর আজমকে অধিনায়ক করে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করে তারা। স্কোয়াডে তেমন কোন চমক না রেখে কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়দের নিয়েই দল সাজিয়েছে ২০০৯ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। অবসর ভেঙে দলে ফেরা মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিমের সঙ্গে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ডাক পেয়েছেন আজম খান, উসমান খান, সাইম আইয়ুব ও আব্বাস আফ্রিদি।

বিশ্বকাপের নবম আসর আগামী ২ জুন থেকে শুরু হলেও পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ খেলবে ৭ জুন স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। আর ভারত-পাকিস্তানের বহুল আকাঙ্ক্ষিত ম্যাচটি হবে ৭ জুন।

আরও পড়ুন: টানা ২ হারের পর বিশাল বড় জয়, যা বললেন শান্ত

ক্রিফোস্পোর্টস/২৬মে২০২৪/এমএস/এজে

Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট