আর মাত্র দু’দিন বাদেই ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। তবে সেই ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে সাকিব ইস্যু। গেল কিছুদিনে নানা নাটকীয়তা দেখা গেছে বিদায়ী টেস্ট খেলতে সাকিবের দেশে ফেরার বিষয়ে। মিরপুরে কখনও দেখা গেছে সাকিব বিরোধী বিক্ষোভ, আবার কখনও দেখা গেছে তার সমর্থনে গলা ফাটাতে।
এর আগে সাকিব আল হাসান যাতে মিরপুরের মাটিতে খেলতে না পারেন, তাই বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করেছিলেন অসংখ্য মানুষ। এতে করে একপর্যায়ে নিরাপত্তা জনিত কারণে আটকে যায় সাকিবের দেশে ফেরা। তবে ঘরের মাঠে প্রিয় তারকার বিদায়ী ম্যাচ দেখতে না পাওয়ার ক্ষোভে আন্দোলনে নামে সাকিব সমর্থকরা।
গতকাল সাকিবিয়ানরা স্বশরীরে অসন্তোষ জানানোর পাশাপাশি সরকারের উচ্চপর্যায়ে স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন। তবে এতটুকুতেই ক্ষান্ত হয়নি সাকিবের ভক্ত সমর্থকরা। সাকিবের সমর্থনে এবং বিসিবি ও সরকারের সমালোচনা করে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির কাছে ই-মেইলে অভিযোগ জানাচ্ছে ভক্তদের একাংশ।
সেসব ই-মেইলে তাদের দাবি কিছুটা এরকম যে– জোর করেই সাকিবকে দেশে ফিরতে এবং দলের হয়ে খেলার সুযোগ দিচ্ছে না সরকার। এমনকি রাজনৈতিক প্রভাবে বিসিবিও সুযোগ করে দিচ্ছে না সাকিবকে। এমন গুরুতর অভিযোগ এনে বিসিবির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে আইসিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে সাকিব অনুরাগীরা।
এর আগে গতকাল মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে একত্রিত হয়ে সাকিবের সমর্থনে গলা ফাটায় অসংখ্য ক্রিকেটপ্রেমী। এ সময় স্টেডিয়ামের দেয়ালে লেখা সাকিবের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ সকল মন্তব্য মুছে দেয় সাকিব ভক্তরা। যার পরিবর্তে তারা লেখেন, ‘সাকিব কিং’, ‘সাকিব ৭৫’, ‘সাকিবের জন্য ন্যায়বিচার চাই’ ইত্যাদি।
এর আগে ভারত সফরে থাকাকালীন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। দেশে ফিরে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি। সাকিবের দেশে ফেরা এবং বিদায়ী ম্যাচ খেলার বিষয়ে অনেকটা নমনীয় অবস্থানে ছিল অন্তর্বর্তী সরকার ও বিসিবি। যদিও এবার সাকিব বিরোধী ও ভক্তদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে সকল পক্ষ।
আরও পড়ুন:
» বাবর নেই, জিতেছে পাকিস্তান- এমন মন্তব্য না করার আহ্বান আমিরের
» শূন্য থেকে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় দেখালেন সরফরাজ, হাঁকালেন সেঞ্চুরি
» বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসানের কীর্তিনামা
কেননা ভক্ত সমর্থকদের এমন পাল্টাপাল্টি অবস্থান দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় আইসিসির ই-মেইলে যে সকল অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা বেশ গুরুত্ব। ক্রিকেট বোর্ডে রাজনৈতিক কোন প্রভাব আইসিসির চোখে পড়লে বড় ধরনের শাস্তির মুখেও পড়তে পারে বিসিবি।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯অক্টোবর২৪/এফএএস