ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। পতন হয়েছে স্বৈরাচার সরকারের। এরপরেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক থলের বেড়াল। অপকর্মের তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছেন না চুনোপুটি থেকে রাঘব-বোয়াল কেউই। আর দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ সাকিব আল হাসানের নামেও আসছে একাধিক অনিয়মের খবর। কিন্তু সরকার পতনের আগের দিনই বড় একটা দান বাগিয়েছেন নাম্বার ওয়ান এই অলরাউন্ডার।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের ঠিক আগ মূহুর্তে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিদেশ থেকে টয়োটা ল্যান্ড ক্রুইসার নামের বিলাস বহুল গাড়ী আমদানি করেছেন সাকিব। গাড়িটির মূল্য ৯ কোটি টাকা। তবে সংসদ সদস্য হওয়ায় এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়নি তার। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিলাসবহুল গাড়ি খুবই অল্প শুল্কে আমদানি করায় বাঁধা হতে পারেনি। কেন এমনটা বলছি? চলুন সেটা জেনে আসা যাক।
সংসদ সদস্য হওয়ার কারণে শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় গাড়ীটি এনেছেন সাকিব। তবে তিনি শুধু একাই নন, বিলুপ্ত হওয়া জাতীয় সংসদের অনেক সদস্যই এমন গাড়ী আমদানি করেছেন। আর সেসব সদস্যের মধ্যে দামের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সাকিবের গাড়িটি। কিন্তু সেই টাকার পরিমাণ আসলে কত?
আরও পড়ুন:
» ভুটানে সিরিজ জিততে চায় বাংলাদেশ, যেভাবে দেখবেন খেলা
» আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আচমকা বিদায় বললেন মঈন আলী
সরকার পতনের টিক আগ মূহুর্তে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাকিবসহ আরো কয়েকজন সংসদ সদস্য গাড়ীগুলো ছাড়িয়ে আনেন। আর সরকারের পতন হয়ে যাওয়ায় এখনো অর্ধশত বিলাস বহুল গাড়ী আটকা পড়েছে বন্দরে। সংসদ ভেঙে যাওয়ায় কোটি টাকা মূল্যের গাড়ীগুলো আর বিনা শুল্ককে ছাড়ানোর সুযোগ নেই। ফলে ৮ কোটি টাকা করে শুল্ক কর দিয়েই গাড়ী গুলো এখন ছাড়াতে হবে। ৪ হাজার সিসির গাড়ীতে শুল্ক কর ৮২৬ শতাংশ। কোটি টাকা দামের গাড়ী তাই ৯ কোটিতে গিয়ে ঠেকছে।
সংসদ ভেঙে যাওয়ায় সাবে সংসদ সদস্যরা গাড়ীগুলো আর বিনা শুল্কে ছাড়াতে পারবেন না। তাছাড়া সংসদ সদস্যরাও এখন পলাতক। সাকিবকে ভাগ্যবান বলতেই হয়। কেননা সরকার পতনের আগেই নিজের বিলাস বহুল গাড়ীটি ছাড়িয়ে আনেন আনেন তিনি।
ক্রিফোস্পোর্টস/৮সেপ্টেম্বর২৪/এজে