আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রাইডার্স। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া সে ম্যাচে খুলনার কাছে ২৮ রানে হেরেছে রংপুর রাইডার্স। আসরের টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়ে টেবিলের শীর্ষে খুলনা।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামা খুলনার শুরুটাও অবশ্য মোটেই সুখকর ছিল না। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মেহেদী হাসানের প্রথম বলেই শূণ্য রানে আউট হন দলের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। খুলনার রান তখন মোটে ২। দলীয় ৩৯ রানের সময় ১১ বলে ৭ রান করে আউট হন তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয়।এবারও মেহেদি হাসানের শিকার বাংলাদেশের এই তরুণ ব্যাটার। আফিফ হোসেনও খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৬ বলে ৪ করে আউট হন তিনি।
এভাবে ব্যাটিংয়ের একপ্রান্তে যাওয়া-আসার মিছিলে ঠিকই আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন ক্যারিবীয় এভিন লুইস। কিন্তু ২৫ বলে ৩৭ করে দলীয় ৬৪ রানে তিনিও আউট হয়ে গেলে তখন চাপে পড়ে যায় খুলনা। ততক্ষণে ৯.৪ ওভার শেষ। কিন্তু এরপরই লংকান অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নেওয়াজের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় খুলনা টাইগার্স।
পঞ্চম উইকেটে এই দু’জনের গড়া ৭৭ রানের জুটিতে বড় রানের সংগ্রহ পায় দলটি। ৩৩ বলে ৪০ রান করে হাসান মাহমুদের বলে আউট হন শানাকা। নেওয়াজ অবশ্য আসরের তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরিটি তুলে নেন। ৩৪ বলে ৫৫ করে আউট হন এই পাকিস্তানি বোলিং অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ ওয়াসিমের ৩ বলে ৭ রানের দরুণ ১৬০ রানে শেষ হয় খুলনার ব্যাটিং ইনিংস।
চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই রাইডার্সদের চেপে ধরে খুলনা। ধীরগতির ব্যাটিংয়ের সাথে নিয়মিত উইকেট খোয়াতে থাকে রংপুর রাইডার্স। আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা বাবর আজমের ইনিংস শেষ হয় ৮ বলে ২ রান করে। ব্রেন্ডন কিং ৫ বলে ১ করে সাজঘরে ফেরেন। ওপেনার রনি তালুকদার করেন ২৫ বলে ১৫ রান। মাঝে শামীম হোসেন ও মোহাম্মদ নবীর ব্যাটে কিছুটা আশা জাগলেও ২২ বলে ৩০ রান করে শামীমও আউট হয়ে যান।
এরপরে সোহান-সাকিবরাও যাওয়া আশার মিছিলে সামিল হওয়ায় ম্যাচ জয়পর আশা মরিচীকায় মিলিয়ে যায় রংপুর রাইডার্সের জন্য। আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী অবশ্য এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন। উইকেটের এক পাশ আগলে রেখে একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন। কিন্তু তার ৩০ বলে ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস শুধুমাত্র হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে। ১৮.৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে রংপুরের ইনিংস শেষ হয়েছে ১৩২ রানে। ম্যাচটি সোহানের দল হেরেছে ২৮ রানে।
আরও পড়ুন: বিপিএল খেলার অনুমতি পেলেন আরও পাঁচ পাকিস্তানি ক্রিকেটার
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬জানুয়ারি২৪/এমএস/এমটি