টি-টোয়েন্টির পর এবার ওয়ানডে র্যাঙ্কিং থেকেও সাকিবের নাম সরানো হয়েছে। আইসিসির তিন ফরম্যাটের অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়েই বাংলাদেশের নামকে উজ্জ্বল করেছেন সাকিব আল হাসান। সম্প্রতি ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। ফলে এর কিছুদিন পরই টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিং থেকে নাম সরানো হয় সাকিবের। কিন্তু হঠাৎ করে ওয়ানডে র্যাঙ্কিং থেকে সাকিবের নাম সরে যাওয়ায় অবাক হয়েছেন অনেকেই।
সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়ে সেখানেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। যদিও ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে টেস্টকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যুতে সেই ইচ্ছেটা পূরণ হয় নি। তাই এখনও ঝুলছে তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ার। কিন্তু তিনি ওয়ানডে ক্রিকেট এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সেটা সবারই জানা। তারপরও আইসিসি থেকে সাকিবের নাম সরানোয় আশ্চর্য হয়েছেন অনেকেই।
আইসিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের পর্দায় নেই সাকিবের নাম। এটা নিয়ে অনেকে অবাক হলেও আইসিসি তাঁদের নিজস্ব নিয়ম মেনেই সরিয়েছে সাকিবের নাম। মূলত কোনো একজন খেলোয়াড় যদি একবছরে কোনো একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটের হয়ে একটিও ম্যাচ না খেলে তাহলে নিয়মানুযায়ী র্যাঙ্কিং থেকে কাটা যাবে ওই খেলোয়াড়ের নাম। সাকিবের সঙ্গেও ঘটেছে তেমনটাই। ২০২৩ সালের ০৬ নভেম্বরের পর দেশের হয়ে আর কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেননি এই অলরাউন্ডার।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ম্যাচটিই ছিল সাকিবের সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ। ওই ম্যাচেই ঘটেছিল ক্রিকেট ইহিতাসের প্রথম টাইমড আউটের ঘটনাও। সেই ম্যাচে সাকিবই ছিলেন অধিনায়ক। যদিও সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বশেষ ম্যাচ ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি তাঁর। এছাড়াও বিশ্বকাপের পর দুইটা ওডিআই সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেই সকল সিরিজে খেলা হয় নি সাকিবের।
বর্তমানে আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে অবস্থান করছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, দ্বিতীয় স্থানে আছেন জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা, তৃতীয় স্থানে আফগান অলরাউন্ডার রশিদ খান এবং চতুর্থ স্থানে বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও ওয়ানডেতে একটি ম্যাচ খেললেই আবারও র্যাঙ্কিংয়ে নাম উঠে আসবে সাকিবের।
ছাত্র-জনতা গণ-আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের এমপি থাকায় ব্যাপকভাবে বিতর্কের শিকার হয়েছেন সাকিব আল হাসান। ফলে দেশের হয়ে খেলা থেকে কিছুটা দূরে দূরে অবস্থান করছেন সাকিব। কিন্তু সাকিবের লক্ষ্য অনুযায়ী তিনি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন। যদিও ওয়ানডে ক্রিকেটের আগে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আরও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। কিন্তু সেখানে সাকিবকে পাওয়া যাবে কি না জানা নাই কারোরই। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে সাকিবের ইতি ঘটতে যাচ্ছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলেই সেটা একপ্রকার নিশ্চিত।
আরো পড়ুন : প্রবেশাধিকার নেই, তবুও মেসির জার্সি মাঠে দেখার আশা স্কালোনির
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪নভেম্বর২৪/এসআর