চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রীতিমতো উড়ছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামদের পর চতুর্থ পেসার হিসেবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন জুনিয়র সাকিব। তবে শরিফুল ইনজুরিতে থাকায় গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচেই একাদশে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আর সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এ পেসার।
সোমবার (১৭ জুন) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ১০৬ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়েও নেপালিদের ২১ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। শ্বাসরুদ্ধকর এই জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিব।
এদিন ইনিংসের প্রথম ওভারেই বোলিংয়ে আসেন সাকিব। প্রথম ওভারে ৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে মেডেনসহ ৩ উইকেট এবং চতুর্থ ওভারে ২ রান দিয়ে আরো ১টি উইকেট শিকার করেন তিনি। সবমিলিয়ে টানা ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ৭ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন এই তরুণ পেসার। এমন আগুন ঝরানো বোলিংয়ে নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে অনেকগুলো রেকর্ডও গড়েছেন এই পেসার।
আরও পড়ুন:
» সুপার এইটে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, ম্যাচগুলো কখন?
» নেপালের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয়ের পর যা বললেন শান্ত
বিশ্বকাপে ৪ ওভারের স্পেলে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম রানের রেকর্ড এটি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৪ ওভারে এক মেডেনসহ ৭ রানে ১ উইকেট নিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। তবে সেটা বিশ্বকাপের অংশ নয়।
এই ম্যাচে ২১টি ডট বল করেছেন সাকিব যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ডট বলের রেকর্ড।
এদিন ২টি মেডেন ওভার করেও রেকর্ড গড়েছেন সাকিব। বিশ্বকাপের ষষ্ঠ এবং বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে এই টুর্নামেন্টে এক ম্যাচে দুটি মেডেন ওভার করেছেন এই ২১ বছর বয়সী পেসার। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশিদের মধ্যে এক ম্যাচে দুই মেডেন নিয়েছিলেন নাজমুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ। এবার তৃতীয় বোলার হিসেবে এই তালিকায় নাম লেখালেন জুনিয়র সাকিব।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৭জুন২৪/বিটি