বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান। তিনি বাংলাদেশকে বহিঃবিশ্বে চিনিয়েছেন নতুন করে। বাংলার ক্রিকেটের এই নবাব ক্রিকেটাকে করেছেন স্বমহিমায় উজ্জল। ক্যারিয়ারের অভিষেকের পর থেকেই প্রতিটা ফরম্যাটে রেখেছেন নিজের প্রতিভার ছাপ।
সাকিব আল হাসান প্রতিটি ফরম্যাটে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। নিজের ক্যারিয়ার কে করেছেন সমৃদ্ধ। যেমন তিনি ক্রিকেটের বহু রেকর্ডের পাতা এলোমেলো করে দিয়েছেন। তেমনি গড়েছেন নতুন নতুন সব বিশ্বরেকর্ড। ইএসপিএন প্রকাশিত বিশ্বাসেরা ৯০ জন ক্রীড়াবিদের তালিকায়ও নিজের নামটি লিখেছেন স্বর্ণাক্ষরে বাংলার ক্রিকেটের এই সুপারস্টার। ক্যারিয়ারের সাফল্যের পাশাপাশি নিজেকে জড়িয়েছেন বহু সমালোচনামূলক কাজেও।
২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিব আল হাসানের।ওই বছরই অভিষেক হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও। পরের বছর ১৮ মে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অভিষেক হয় এই টাইগার নবাবের।
দীর্ঘ ১৮ বছরের এক বর্ণিল ক্যারিয়ার তাঁর। নিজের ঝুলিতে পুরেছেন শত শত উইকেট ও হাজার হাজার রান। দীর্ঘ সময় ধরে ছিলেন তিন সংস্করণের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। অবশেষে সেই বর্ণিল ক্যারিয়ারে ইতি টানলেন এই টাইগার সুপারস্টার। বিদায় জানালেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে।
কানপুরে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই আমি আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছি এবং মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট হবে আমার শেষ টেস্ট। ‘
এখন দেখে নেওয়া যাক কেমন ছিলো বাংলার ক্রিকেট নবাবের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার। বাংলার ক্রিকেটের নবাব সাকিব আল হাসান এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৭০ টি টেস্টে ১২৮ ইনিংসে ব্যাট করে রান করেছেন ৪ হাজর ৬০০, করেছেন ৫ সেঞ্চুরি এবং ৩১ টি হাফসেঞ্চুরি, করেছেন ১টি ডাবল সেঞ্চুরি। খেলেছেন ২১৭ রানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এবং বল হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। বল হাতে নিয়েছেন ২১৯ উইকেট, সঙ্গে ১৯ বার স্বাদ পেয়েছেন ৫ উইকেটের এবং ২ বার ১০ উইকেট নিয়েছেন।
অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতেও আছে উজ্জ্বল পরিসংখ্যান। সেখানে ১২৯ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ২৫৫১, করছেন ১৩টি হাফসেঞ্চুরি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ৮৪ রানের। বল হাতে নিয়েছেন ১৪৯ উইকেট, ২ বার পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছে এই সংস্করণে। সেরা বোলিং ফিগার ২০ রানে ৫ উইকেট।
ব্যাট- বল হাতে এই দুই সংস্করণে আর দেখা যাবে না এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। তবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
আরো পড়ুন : পান্তকে টেস্টের অধিনায়ক করার পরামর্শ দিলেন পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬সেপ্টেম্বর২৪/এসআর