চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এদিন আগে ব্যাট করে অজিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৪০ রান তুলতে সক্ষম হয় টাইগাররা। জবাবে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্বাদশ ওভারের মধ্যেই ১০০ রান পূরণ করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস নিয়মে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ড স্টেডিয়ামে আজও ব্যাটিংয়ের শুরু খুব একটা ভালো হয়নি টাইগারদের। প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান তামিম আউট হয়। এরপর লম্বা সময় অধিনায়ক নাজমুল শান্ত এবং লিটন দাস উইকেটে টিকে থাকলেও তাদের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি দল। মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতাতেই ম্যাচের চ্যালেঞ্জ নিতে পারছেনা টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট পড়ছে অতিরিক্ত চাপে। এদিকে সুপার এইটে চাপহীন ক্রিকেট খেলার কথা জানিয়েছিল দলের প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। তবে তারপরও কেন ক্রিকেটাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেও এর উত্তর জানেন না বলে জানান।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে শান্ত এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কেন পারছি না সেটা বলা মুশকিল। আমার যা মনে হয় সবার ওই ক্যাপাবিলিটি আছে। অতীতে সবাই বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে করে দেখিয়েছে। কিন্তু এখন কেন হচ্ছে না সে প্রশ্নের উত্তর আমার কাছেও নাই। সবাইকে ওই স্বাধীনতাটা দেওয়া আছে। যার যেটা ন্যাচারাল গেম সেটা খেলার জন্য। তবে কোনো কারণে হচ্ছে না।’
সুপার এইটের পরবর্তী ম্যাচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুইটা ম্যাচ অনেক ইম্পর্টেন্ট, সেখান থেকে পাওয়ার অনেক কিছু আছে। আমরা দুইটা ম্যাচ জিতলে ভালো অবস্থানে থাকবো। প্রতিটা ম্যাচই জেতার জন্য খেলি। সবার ওই স্বাধীনতা নিয়ে খেলার কথা বলা আছে। ম্যাচে যে যার মত চেষ্টা করছে, কেন হচ্ছে না আমি ব্যক্তিগত ভাবে জানি না। তবে এভাবে খেললে বোলারদের জন্য বিষয়টা বেশ কঠিন।’
এই ম্যাচে লিটনের ধীর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শান্ত জানান, ‘শুরুর দিকে আমাদের পরিকল্পনা ছিল পাওয়ার প্লেতে উইকেট বাঁচিয়ে রেখে ধীরে খেলা। আমরা শুরুর দিকে অনেকটাই সফল হয়েছিলাম, তবে আরো ভালো হতে পারতো। আমি যখন আউট হয়েছি তখন আউট না হয়ে যদি আর একটু ১৭ অথবা ১৮ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারতাম, তবে ১৬০-৭০ রান পর্যন্ত হতে পারতো।’
গ্রুপ পর্বের খেলা ম্যাচ গুলোর কন্ডিশন বিবেচনায় আজকের উইকেট কিছুটা ভিন্ন থাকার কথাও বলেন শান্ত, ‘কন্ডিশনে অনেক বেশি ভিন্নতা রয়েছে। সর্বশেষ ম্যাচে স্পিন ও সিম দুটোই ভালো ধরছিল। আজকের উইকেট একদম ফ্ল্যাট, ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো উইকেট। আমরা ভালো ব্যাট করিনি, এটাই মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। অন্তত ১৬০-১৭০ রান করা দরকার ছিল।’
তবে ম্যাচ হারের জন্য ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই দুষলেন শান্ত। এই উইকেটে আরো অতিরিক্ত ২০-৩০ রান হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন, ‘আমরা যখন ব্যাটিং করেছি, ১৬০-১৭০ হবে মনে হয়েছে, অন্তত ১৬০ রান হলে ভালো হতো। উইকেট শুরুতে স্লো ছিল। পরে যদিও ওদের ব্যাটিংয়ে মনে হয়েছে সহজ ছিল। বল ভিজে যাওয়ার কারণে ব্যাটে ভালো আসছিল। আমাদের পেস বলের বিরুদ্ধে অনায়াসে খেলেছে।’
আরও পড়ুন: ‘মাস্ক’ পরেই আজ মাঠে নামতে পারেন এমবাপ্পে
ক্রিফোস্পোর্টস/২১জুন২৪/এফএএস