ব্যর্থ বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে আজ দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল। বড় প্রত্যাশা নিয়েই বিশ্বমঞ্চে পা রেখেছিল সাকিবের নেতৃত্বাধীন দলটি। তবে সেই প্রত্যাশার পারদে জল ঢেলে সবার আগেই বিদায় নিশ্চিত করে টিম টাইগার। শেষ বেলায় ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিসিবির কাছে এক আবদারই করে বসলেন নাজমুল হাসেন শান্ত।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতা ছড়িয়েছে কলকাতা, মুম্বাই থেকে পুনেতে। সবখানেই ছিল ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। বোলাররাও পাচ্ছিলেন বাড়তি পেস ও বাউন্স। তবে সেই উইকেটের সুবিধা নিতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। মূলত বাংলাদেশের স্লো উইকেটে খেলে অভ্যস্ত বোলাররা নিজেদের মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে এমন উইকেটে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সাথে ম্যাচ শেষে নিজেদের ব্যর্থতার কথা জানিয়ে বিসিবির কাছে ভালো উইকেট আবদার করেন শান্ত। উইকেট এর বিষয়ে বিসিবির সাথে আলাপ হবে কিনা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। সবাই তো দেখলাম আমরা কোন অবস্থায় আছি। আমরা যতটা খারাপ ব্যাট করেছি, ততটা খারাপ দল কিন্তু না। প্রস্তুতি ঠিক ছিল, কিন্তু ফল আসেনি। এটাই আশা করব, আমরা যখন হোয়াইট বল ফরম্যাট খেলব ওয়ানডে হোক বা টি-টোয়েন্টি হোক, প্রত্যেকটা উইকেটই যেন ভালো এবং স্পোর্টিং হয়।’
তিনি মনে করেন, এতে করে বোলাররা নিজেদের সামর্থ্য নিয়ে নিশ্চিত থাকবে। কিভাবে ৩০০ রান ডিফেন্ড করা যায় তার অভ্যাস গড়ে উঠবে। শান্ত আশা করেন বিসিবি এই বিষয় নিয়ে ভাবছে। ভবিষ্যতে তেমন উইকেটই দেওয়া হবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখুন, এরকম বোলিংয়ের বিপক্ষে আমরা তিনশ করেছি। যদি রান আউট দুটো না হতো বা মাঝখানে যদি আরেকটা বড় জুটি হতো, তবে আমরা সাড়ে তিনশই করতাম। তবে এটাও সত্য, আমরা যত ভালো উইকেটে খেলব ওই অভ্যাসটা গড়ে উঠবে। আমরা কিন্তু জানি কীভাবে আমরা তিনশ করতে পারি, এই অভ্যাসটা তৈরি হলে দেখা যাবে আমরা নিয়মিত ৩৩০-৩৫০ করতে পারছি।’
আরও পড়ুন: রোনালদোর অন্যরকম অভিষেকেও জয় পেল আল-নাসর
ক্রিফোস্পোর্টস/১২নভেম্বর২৩/এসএফ/এজে